শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে এক দশমিক ছয় থেকে দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বহুজাতিক অবৈধ ব্যবসার লেনদেন হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি অর্থ লেনদেন হয় জাল ব্যবসায়। এরপরই অবস্থান মাদক পাচারের। গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফই) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি প্রতি বছর এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এবারের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘বহুমুখী অবৈধ ব্যবসা এবং উন্নয়নশীল দেশ’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বে বিভিন্ন পণ্যের জাল ব্যবসার পরিমাণ ৯২৩ বিলিয়ন ডলার থেকে এক দশমিক ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার। মাদক পাচারের মাধ্যমে ৪২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৫২ বিলিয়ন ডলার ব্যবসায়িক লেনদেন হয়। এছাড়া অবৈধ লগিং ব্যবসায় প্রতিবছর বিশ্বে ৫২ বিলিয়ন থেকে ১৫৭ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়ে থাকে। বার্ষিক অবৈধ ব্যবসার মধ্যে মানব পাচারে লেনদেন হয় ১৫০ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। আর অবৈধ খনি ব্যবসায় বিশ্বে প্রতিবছর লেনদেন হয় ১২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। অবৈধ মৎস্য ব্যবসায় লেনদেন হয় ১৫ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন থেকে ৩৬ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবসায় লেনদেন হয় পাঁচ বিলিয়ন থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল চুরির বাণিজ্য হয় বছরে পাঁচ দশমিক দুই বিলিয়ন থেকে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ছোট ও হালকা অস্ত্র পাচারে বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। মানব অঙ্গ পাচারের পরিমাণ ৮৪০ মিলিয়ন ডলার থেকে এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার এবং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী সম্পদ পাচারের পরিমাণ এক দশমিক দুই থেকে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সংঘাত, দুর্নীতি ও অন্যায় কাজে অর্থায়ন করে থাকে অবৈধ ব্যবসার হোতারা। ফলে বিশ্বের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
জিএফআই প্রেসিডেন্ট র্যামন্ড ব্যাকার বলেন, ঝুঁকি কম কিন্তু মুনাফা অনেক বেশি হওয়ায় এ ধরনের কাজ বিস্তার লাভ করছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে একযোগে কাজ করার প্রবণতাও কম। তাই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে সামষ্টিকভাবে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টরকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ এসব অবৈধ ব্যবসায় অনেক সময়ই ব্যাংকিং খাতকে ব্যবহার করা হয়।