জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কটা শেষ হলো না

এম খালেক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন। মোট ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত বাজেটে আয়ের পরিমাণ প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য বৃহৎ কলেবরের যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে, তা নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ এবং সবার জন্য একই হারে ভ্যাট প্রদানের বিধান জারি করায় ব্যবসায়ী মহল হতাশ হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনে সবার জন্য একই হারে ভ্যাট প্রদানের বিধান ভবিষ্যতে দেশে সাধারণভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে শঙ্কা। তবে সবচেয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জন নিয়ে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট ভাষণে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি (গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট) প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হবে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তার অর্থ হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে যাবে। এটা অবশ্যই একটি ভালো সংবাদ। বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এবারই প্রথম এমন একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে গেলে আগামী অর্থবছরের জন্য মাত্র দশমিক ১৬ শতাংশ বর্ধিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কেন নির্ধারণ করা হলো? এটা কি আরও বেশি করে নির্ধারণ করা যেত না?

এর আগে একজন মন্ত্রী বলেছিলেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে যাবে এবং তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন মন্ত্রীর আশাবাদের চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে হার প্রদর্শন করা হচ্ছে, তা জিডিপি-সংক্রান্ত বিতর্ককে দিচ্ছে আরও উস্কে। কারণ উন্নয়ন সহযোগীদের কেউই এ পরিসংখ্যান প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নিতে নারাজ। তারা মনে করছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শিত অর্জনের চেয়ে কিছুটা হলেও কম। কিছুদিন আগে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রক্ষেপণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছিল, বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তারা তাদের সেই অবস্থান এখনো বজায় রেখেছে। প্রকারান্তরে উন্নয়ন সহযোগীরা সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান মেনে নিচ্ছে না। অবশ্য এটা ঠিক, বাংলাদেশ যদি চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশের নিচে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, সেটাও কম নয়। কারণ সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতিতে সৃষ্ট মন্দাভাবের কারণে বেশির ভাগ দেশের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে। সে অবস্থায় বাংলাদেশ এক দশক ধরে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, এটা কোনোভাবেই উপেক্ষা করার নয়। এমনকি চীন ও ভারতের মতো দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোও আগেকার প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে পারছে না। সে অবস্থায় বাংলাদেশের মতো একটি সমস্যাসঙ্কুল দেশের পক্ষে টেকসইভাবে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন বিস্ময়কর ব্যাপারই বটে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে, সেটা অবশ্যই যৌক্তিক ও সঠিক হতে হবে। কারণ যে কোনো পরিকল্পনা প্রণয়নে সঠিক পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া বেশ কষ্টকর। কারণ প্রায়ই পরিসংখ্যানকে অতি মূল্যায়িত করে দেখানো হয়। অনেকেই মনে করছেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে, তাও অতি মূল্যায়িত। কারণ বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব কঠিন। স্থানীয় অর্থনীতিবিদদের অনেকেই প্রদর্শিত এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত পোষণ করছেন না। তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের বিরাজমান আর্থসামাজিক অবস্থায় ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারাটাই বড় ধরনের সাফল্য। জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য যেসব উপকরণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, তার বেশির ভাগই নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। সে অবস্থায় উচ্চমাত্রায় প্রবৃদ্ধি অর্জন কীভাবে সম্ভব?

জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পেছনে যেসব উপকরণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় বিনিয়োগের প্রসঙ্গটি। উৎপাদনশীল ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে বিনিয়োগ প্রত্যাশামতো বাড়ানো না গেলে সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ে না। আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোই একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। কারণ প্রবৃদ্ধি যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী বা উৎপাদনশীল খাতে না হয়, তাহলে সেই প্রবৃদ্ধি শুধু মানুষের দুর্ভোগই বাড়ায়। যেমন, একজন ছিনতাই বা ব্যাংকঋণের টাকা আটকে রেখে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটালেন। পরবর্তী সময়ে সেই টাকা নানা কাজে ব্যবহার করে আয়-রোজগার বৃদ্ধি করলেন। তিনি যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করলেন, তা জাতীয় অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে। এটা চূড়ান্ত বিচারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। কিন্তু আমরা কি এ ধরনের প্রবৃদ্ধি কামনা করতে পারি? বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে, এ ধরনের একটি খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের একজন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা বাড়ছেÑএটা অবশ্যই সুখবর। কিন্তু এটা কি উৎপাদনশীল খাতের মাধ্যমে সততার সঙ্গে অর্জিত হচ্ছে, নাকি দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে হচ্ছে, সেটাও বিবেচ্য। তার অর্থ হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু হলেই হবে না। তা কীভাবে হচ্ছে, সেটাও

দেখার বিষয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সবচেয়ে বড় উপকরণ হচ্ছে বিনিয়োগ। একমাত্র উৎপাদনশীল ও কর্মসংস্থানমূলক বিনিয়োগে অর্জিত প্রবৃদ্ধিই কাম্য হতে পারে। আমরা কি সেটা করতে পারছি? অনেক

দিন ধরেই বিনিয়োগ একই স্থানে আটকে আছে। বলা হচ্ছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩১ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এটা কীভাবে অর্জিত হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এমনকি ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কী করা হবে, সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। সরকারি হিসাবমতে, বর্তমানে

দেশে বিনিয়োগের হার জিডিপির ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে জিডিপির ২২ শতাংশ। কয়েক বছর ধরেই ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের হার ২২ শতাংশে আটকে আছে। বিনিয়োগ কার্যক্রমে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে, এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। আর বিনিয়োগের যে পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছে, সেটা কি বাস্তব নাকি নিবন্ধিত বিনিয়োগ? অনেক সময় নিবন্ধিত বিনিয়োগকে বাস্তব বিনিয়োগ হিসেবে দেখানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত ও বাস্তবায়িত হওয়া এক কথা নয়। এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে যে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে, তার ৩৫ শতাংশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক পর্যায়েই বন্ধ হয়ে যায়। বাকি ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে ছিল। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকল্প শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পারবে না। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৩৭টি প্রকল্প বিডায় নিবন্ধিত হয়। এগুলোতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে নিবন্ধিত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৬টি। এতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পগুলো যদি সবই বাস্তবায়িত হতো, তাহলে দেশ শিল্প-কারখানায় ভরে যেত। বাস্তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। সফল উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সম্ভাবনাময় নতুন উদ্যোক্তাও আসছেন না। ব্যাংকগুলো

বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত তারল্য নিয়ে বসে আছে; কিন্তু উদ্যোক্তারা আসছেন না। এ অবস্থায় আগামী এক বছরের মধ্যে বিনিয়োগ প্রায় দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পাবেÑএটা আশা করা যায় না। রেমিট্যান্সের অবস্থা খুবই খারাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে নেগেটিভ ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত অর্থবছরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল, তার তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১৭ শতাংশ কম এসেছে। বলা হচ্ছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। কিন্তু এ যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। কারণ আগেও হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসতো। তখন তো রেমিট্যান্স প্রবাহ এতটা কমে যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় অনেক দেশই শ্রমিক ছাঁটাই করছে। বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ওখানে অভিবাসীদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আসা কমে গেছে। এছাড়া আরব দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখন উন্নয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় ব্যস্ত। মূলত এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। শিগগিরই এটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

একইভাবে অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এটা ছিল প্রায় ৮ শতাংশ। রফতানি আয় কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারসাম্য প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারির নামে যা আমদানি হচ্ছে, তা কি সত্যি ক্যাপিটাল মেশিনারি? কাঁচামালের নামে ডিক্লারেশন দিয়ে যা আনা হচ্ছে, তার সবই কি শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল? প্রশ্ন রয়েছে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেসব খাত নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, তার প্রায় সব কয়টির অবস্থাই খারাপ। তাহলে কী করে চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে? আগামী অর্থবছরেই বা কী করে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে? আর চলতি অর্থবছরে যদি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, তাহলে আগামী অর্থবছরের জন্য আরও উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করাই কি যৌক্তিক ছিল না?

অর্থনীতিবিষয়ক কলাম লেখক