জিম্বাবুয়ে সিরিজে মাশরাফিকে নিয়ে শঙ্কা

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সাতবার করিয়েছেন হাঁটুর অস্ত্রোপচার। তারপরও মাশরাফি বিন মুর্তজা দাপটের সঙ্গেই এখনও খেলে যাচ্ছেন। ওয়ানডেতে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। সেই পথচলায় আবারও এ ডানহাতি পড়েছেন চোটে। তবে একটি নয় তিনটি চোটে ভুগছেন তিনি। যা নতুন করে তার সঙ্গী হয়েছে সদ্যই শেষ হওয়া এশিয়া কাপ থেকে। যে কারণে এ মাসে শুরু হতে যাওয়া ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাজ পাখির মতো উঠে শোয়েব মালিকের ক্যাচ লুফে নিয়েছিলেন মাশরাফি। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ডানহাতের কনিষ্ঠায় চোট পেয়েছেন। রক্তও ঝরছিল কিছুটা। তারপরও মাঠ থেকে একবারে উঠে যাননি। ব্যান্ডেজ করে আবার ফিরেছিলেন। ম্যাচের পর আর এক্সরে করাননি। সে চোট নিয়েই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ফাইনালে ম্যাশ। যা তার জন্য এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপদের কারণ।
এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরে আঙুলের এক্সরে করানোর পরই দুঃসংবাদ পান মাশরাফি। ভেঙে গেছে তার ডান হাতের কনিষ্ঠা, ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। একই সময় এ ডানহাতি জানতে পারেন, বল লেগে ডান পায়ের উরুর মাংসপেশীও ছিঁড়ে গেছে। এটা ঠিক হতে ১০ দিন লাগতে পারে। পাশাপাশি সেই উরুতে নাকি টিউমারের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক।
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। ওই সিরিজে মাশরাফি খেলতে পারবেন কি না সেটা নিয়েই এখন দেখা দিয়েছে সংশয়। সবকিছু আসলে নির্ভর করছে নড়াইল এক্সেপ্রেসের সুস্থতার ওপর।
সেরে উঠতে কতদিন লাগতে পারে মাশরাফির? এ ব্যাপারে গতকাল বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘হাত ও পায়ের যে কোনো মচকে যাওয়া চোট ঠিক হতে অন্তত তিন সপ্তাহ লাগে। মাশরাফির হাতে যে ব্যান্ডেজটা আছে, তা দু’সপ্তাহ পর খোলা হবে। তখন সত্যিকার অবস্থা বোঝা যাবে। তবে সাধারণত এসব চোট ভালো হতে ২১ দিনের মতো সময় লাগে।’
এদিকে ম্যাচের উরুর চোট নিয়ে দেবাশীষ বলেছেন, ‘এই চোটটা তেমন গুরুতর নয়। বিশ্রাম পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। মাশরাফি যেহেতু এখন পুরোপুরি বিশ্রামে আছেন, তাই উরুর চোট থেকে সুস্থ হতে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।’
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে মাশরাফি পেতে অবশ্য দারুণ আত্মবিশ্বাসী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি আশা করছেন ওয়ানডে অধিনায়ককে আসন্ন সিরিজের শুরু থেকেই পাবে টিম বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাচক যা-ই বলুক না কেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে মাশরাফিকে পাওয়া নিয়ে কিন্তু শঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে।
মাশরাফির আগে হাতের আঙুলের চোটে ভুগছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এদিকে পাঁজরের চোটে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম। এরই মধ্যে সাকিবের আঙুলে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। আরেকটি করাতে আগামীকাল এ অলরাউন্ডার যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া। তবে তামিমের চোট তেমন গুরুতর নয়। মুশিরও তাই। তারপরও ওই তিন ক্রিকেটারের আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে না পাওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই বলা যায়।