প্রতিনিধি, কুবি : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এদেশের অনেকে মনে করেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তিনি তার শাসনামলে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মামলা হতে দেয় নাই। তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটাকেও বাতিল করেননি। ১৯৯৬ সালের আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে নাই কোন সরকার। জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত না থাকে তাহলে তারা কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে নাই। জিয়া শুধু হত্যা করে নাই যারা হত্যা করেছে তাদের সবাইকে নিরাপদে বিদেশ যাবার ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন। এসবেই তো প্রমানিত হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ(ওমর-জাহিদ) একাংশের আয়োজিত ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই শুধু আওয়ামীলীগে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি। তিনি সবাইকে নিয়ে সমৃদ্ধির একটি বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই চাওয়াটার জন্যই তাকে টার্গেট করে দুষ্কৃতিকারীরা। তাদের ধারণা ছিলো বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে শেষ করে দিতে পারলেই বাংলাদেশকে শেষ করে দেয়া যাবে। যার ফলশ্রুতিতে তারা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের উপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।
তিনি বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি দোসররা। পরাজয়ের গ্লানি থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার আয়োজিত এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ব নেতা। তিনি সবসময় শোষিত মানুষের পক্ষে কাজ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে ক্ষান্ত হয়নি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে গড়ার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করলেও তার আর্দশ ধারণ করতে পারি নাই। তার আর্দশের মধ্যে দুর্নীতি ছিল না। অনিয়ম ছিল না, কিন্তু আমারা এখনো দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারিনি। বিশ্বের পরাশক্তিরা কখনো বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারে নাই তারা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং পঁচাত্তরের পনেরো আগষ্টে সপরিবারে হত্যা করেন।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এসএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, কুবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষ-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।