নিজস্ব প্রতিবেদক: গত জুলাইয়ে দেশে ৬৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজার ৪২ জন। এ সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এই দুই চাকার যানের আরোহীই বেশি।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুর্ঘটনার মাসভিত্তিক তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে সারাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে ২৯৬টি, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যেও মোটরসাইকেল বেশি। জুলাইয়ে সম্পৃক্ত এক হাজার ২১৮টি যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১৭টি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তিন চাকার যান ২২১টি, ট্রাক ১৭৯টি, বাস ১৮৮টি, পিকআপ ৫৬টি, কাভার্ডভ্যান ২১টি এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-করিমনের মতো ৮২টি যানবাহন এ সময় দুর্ঘটনায় পড়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে নিহতদের মধ্যে প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন ৫৭ জন। এছাড়া তিন চাকার বিভিন্ন যানের যাত্রী ১৪৯ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-করিমনের মতো যানবাহনের যাত্রী ২৬ জন ও বাইসাইকেল-রিকশার যাত্রী ছিলেন ২২ জন।
জুলাইয়ের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ১০৯টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, জুলাইয়ে সারাদেশে ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩৩ জন। রেলপথ দুর্ঘটনায় লেভেলক্রসিংয়ে ঘটা দুর্ঘটনাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, দেশে অরক্ষিত লেভেলক্রসিং ক্রমাগতভাবে বাড়ছে এবং এসব লেভেলক্রসিংয়ে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। জুলাইয়ে অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে তিনটি বড় দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রেল ট্র্যাকে দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনার কারণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মানসিক ও শারীরিকভাবে’ অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে।