‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে সিকদার ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হলো বিমা খাতের কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে উন্নিত হলো। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম থেকে সপ্তম কার্যদিবসের মধ্যে এই ঋণ দেয়া যাবে না। অর্থাৎ আজ থেকে পরবর্তী ৭ কার্যদিবস পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

সম্প্রতি ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ২০ পয়সা প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ৩০ হাজার ৯০০টি শেয়ার মোট ১২৫ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৫ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৭৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮৪ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৪৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৬ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ২২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৩ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা। বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।