‘জেনসুলিন’ ও ‘জেনসুপেন ২’ এনেছে বেক্সিমকো ফার্মা

চিকিৎসাগত মানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করা ইউরোপিয়ান ইনসুলিন ‘জেনসুলিন’ বাংলাদেশে এনেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এর মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি আবারও একটি মাইলফলক অর্জন করল। এছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অটোমেটেড এরগোনোমিক ইনসুলিন ইনজেকটিং ডিভাইস ‘জেনসুপেন ২’ও এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি রাজধানীতে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদদের উপস্থিতিতে বেক্সিমকো ফার্মা ওষুধ দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের বোর্ড অব ট্রাস্টি প্রফেসর এ কে আজাদ খান। এ সময় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স (বিআইএসএইচ) মেডিসিন বিভাগের প্রধান কনসালট্যান্ট প্রফেসর ইমেরিটাস হাজেরা মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে ছিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রফেসর ফারুক পাঠান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আবদুস সালেক মোল্লাহ্, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আবদুল জালাল আনসারী, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এনডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম বিভাগের প্রফেসর লিয়াক আহমেদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এমএ হাসনাত ও ন্যাশন্যাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্কের কনসালট্যান্ট ও সিইও ডা. এমএ সামাদ।
প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এনডোক্রিনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ।
বিদেশের দুজন বিশিষ্ট চিকিৎসকও এ আলোচনায় অংশ নেন। তারা হলেন পোল্যান্ডের ওয়ারশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়াবেটোলজি অ্যান্ড ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর লেসজেক জুপ্রিনিয়াক ও টোকিও হেলথলিংক ইন্টারন্যাশন্যাল এবং দ্য নিউ বিয়েটো কাউলিন হাসপাতালের ডায়াবেটোলজিস্ট ডা. মেলানি বেসিও দুরান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্ট ৬০০’র বেশি ব্যক্তি জেনসুলিন ও জেনসুপেন ২-এর ওপর তাদের আস্থা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, এদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বেক্সিমকো ফার্মা শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।