জেমকন গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিশাল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছে-দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা প্রায় ৩৬২ একর জমি, ঢাকার সাতটি ফ্ল্যাটসহ কয়েকটা বাড়ি। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় তার ভাই কাজী আনিস আহমেদের বিনিয়োগ করা কোটি কোটি টাকাও আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আদালতে করা আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার একজন বিশেষ জজ এই নির্দেশ দেন। দুদক বলছে, তারা এ বিষয়ে আরও তদন্ত করছে। তাই যেন এই সম্পত্তি কেউ বিক্রি করতে না পারে বা সরিয়ে ফেলতে না পারে, সে জন্যই তারা আদালতের কাছে এগুলো জব্দ করার আবেদন করেছিল। কাজী নাবিল আহমেদের নামে যে সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-পঞ্চগড়ে প্রায় ৭০ একর, খুলনায় ২৪৬ একর, ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও গুলশানে জমি এবং ফ্ল্যাট। এছাড়া বাবা কাজী শাহেদ আহমেদের নামেও ঢাকায় একটা ছয়তলা বাড়ি ও যশোরে একটা দোতলা বাড়িসহ বেশ কিছু জমি, মা আমিনা আহমেদের নামে ধানমন্ডির তিনটি ফ্ল্যাট ও সেন্টমার্টিনে কিছু জমি এবং ভাই কাজী আনিস আহমেদের নামে ঢাকা ও গুলশানে ফ্ল্যাট এবং কাজী ইনামের নামে ধানমন্ডি-গুলশানে তিনটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে, কাজী আনিস আহমেদ আমেরিকার একটা কোম্পানিতে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিলেন। আদালত সেই শেয়ারগুলোও এখন আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, এ টাকা বিনিয়োগ করার জন্য তিনি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতিও নেননি।
এর আগে কাজী নাবিল ও তার পরিবারের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার এবং তাদের ৮৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও আদালতের নির্দেশে আটক করা হয়েছিল। দুদকের এ পদক্ষেপের ফলে কাজী নাবিল আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের এ বিশাল সম্পত্তি এখন আর ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবেন না।