জ্বরের লক্ষণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

সম্ভবত আপনি বা আপনার সন্তানরা কোনো একটা সময় প্রায়ই সাধারণ সর্দি বা জ্বরের মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু এতে তাদের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এ বিষয়টি সন্তানদের জানানো উচিত। ছেলেমেয়েরা ভালো বোধ করছে না, বা ভাইরাস সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করছে, এ বিষয়টি বাবা-মাকে জানানোর জন্য তাদের উৎসাহিত করা উচিত, যাতে অভিভাবকরা সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন।

প্রাপ্তবয়স্করা এই সত্যটি অনুভব করতে পারে যে, শিশুরা কভিড-১৯ সম্পর্কে ভীত ও উদ্বিগ্ন বোধ করছে। আপনার সন্তানকে আশ্বস্ত করুন যে, বিশেষত শিশু ও অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে কভিড-১৯ সংক্রমণের অধিকাংশ উপসর্গই সাধারণত হালকা হয়। এটা মনে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ যে, কভিড-১৯-এর অধিকাংশ লক্ষণই চিকিৎসা করা যেতে পারে। সেখান থেকে আমরা তাদের মনে করিয়ে দিতে পারি, নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিস্থিতির ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা ঘনঘন হাত ধোয়া, মুখমণ্ডল স্পর্শ না করা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো কার্যকর অনেক কিছুই করতে পারি। 

ইউনিসেফ: কভিড সম্পর্কে প্রচুর অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য রয়েছে। এই ভুল তথ্য রোধ করতে অভিভাবকরা কী করতে পারেন? তারা কী শুনছে বা কোনটাকে তারা সত্য বলে মনে করে, তা খুঁজে বের করার মাধ্যমেই শুরু করা যেতে পারে। আপনার সন্তানকে কেবল সত্য তথ্য দেয়াই যথেষ্ট নয়। আপনার সন্তান যদি ভুল কিছু জেনে থাকে বা সঠিক নয় এমন সংবাদ দেখে, তবে তারা আপনার দেয়া নতুন তথ্যের সঙ্গে তাদের পুরোনো তথ্যকে মেলাবে। কী ঘটছে, সে সম্পর্কে এটি তাদের একধরনের ফ্রাঙ্কেনস্টেইনের দানবের মতো ধারণা দেবে। তাই তাদের জিজ্ঞাসা করুন, তারা কী শুনছে? আপনি যখন তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেন বা যখন আপনি সর্বশেষ তাদের সঙ্গে খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন, তখন তাদের কী বলা হয়েছে? তারা এরই মধ্যে যা জেনেছে, সেটা অনুসন্ধান করুন এবং তাদের সঠিক তথ্যের কাছে নিয়ে আসার জন্য সেখান থেকে শুরু করুন। সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য সূত্র (যেমন, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট) ব্যবহার করতে বলুন বা কম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে তারা যেসব তথ্য পেতে পারে, সেগুলো যাচাই করতে প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত শিশুদের উৎসাহিত করা। কিশোর-কিশোরী মনোবিজ্ঞানী, মাসিক নিউইয়র্ক টাইমসের কলাম লেখক ডা. লিসা ডামুরের পরামর্শ অবলম্বনে। ইউনিসেফ