জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি: এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন।

গতকাল এফবিসিসিআই’র নিজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছেন, তার খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের।’

তিনি তেলের দাম ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যাবে বাংলাদেশেও কমবে। আর যখন বাড়বে তখন বাংলাদেশেও বাড়বে। এতে একসঙ্গে তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমানোর ঠিক থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকার।’

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি। আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা লেদার, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করছি। এই বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে আমরা ৬টি বাণিজ্য চুক্তি করেছি। ইউকে মার্কেট ও ফ্রান্স মার্কেটে আগামীতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে। এছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজšে§র বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে।’ এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএপি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা পাই, তবে আমরা বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনার প্রভাবে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে আছে। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেয়ার মনোভাব রাখেন। এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছেন, যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন।’