Print Date & Time : 3 September 2025 Wednesday 8:31 pm

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ‘অযৌক্তিক’ প্রত্যাহার দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক ও গণবিরোধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে এই অভিমত ও দাবি জানানো হয়।

গত শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪, পেট্রলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ ও অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণ করা হয় লিটারপ্রতি ৮০ টাকা। এরপর বাসভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ, লঞ্চভাড়া বাড়ানো হয় ৩৫ শতাংশ, যা তেলের দাম বাড়ানোর হারের চেয়ে অনেক বেশি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সাধারণ মানুষ দিশাহারা, তখন দুঃসময়ে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বাড়ানো হয়েছে। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে বাইরে চলে যাবে। এরই মধ্যে পরিবহন খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

তেলের দাম যে পরিমাণ বাড়ে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ে বলে উল্লেখ করেন মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, পণ্য পরিবহন ভাড়াও ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিকরা। বাসমালিক-শ্রমিক নেতারা মিলেমিশে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।

মোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নি¤œমুখী। এই সময় বাজার পর্যবেক্ষণ না করে কেবল আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে জ্বালানির তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। অনতিবিলম্বে বাড়তি দাম প্রত্যাহার করে আগের দাম পুনর্বহাল করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি তাওহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।