শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, শেরপুর: ‘বৈচিত্র্য-বহুত্বের ঐকতানে, এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ স্লোগানে শেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতিতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু মিলনমেলা। ঝিনাইগাতীর গজনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গত শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত এ মিলনমেলায় গারো, কোচ, বর্মণ, হাজং, রাজবংশীসহ নানা জাতিগোষ্ঠীর জনগণ অংশগ্রহণ করে।
সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদে বসবাসকারী আদিবাসী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর নানাভাবে জমিজমা হারানো, জীবন-জীবিকার ওপর নানা ধরনের হুমকি এবং নিজস্ব ঐতিহ্য রক্ষায় সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে নাগরিক সংগঠন জন-উদ্যোগ শেরপুর জেলা কমিটি এ মিলনমেলার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। এছাড়া প্রিয় অতিথি ছিলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।
গারো সম্প্রদায়ের নেতা জনার্দন বনোয়ারী বক্তৃতায় বলেন, ‘ঝিনাইগাতীর গজনী পাহাড়ে অবকাশ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে জমি হারানো থেকে শুরু করে শব্দদূষণ এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয় গারো-কোচ সম্প্রদায়ের। বনবিভাগের ন্যাশনাল পার্ক নির্মাণের প্রস্তাবে ফের নতুন করে জমিজমা হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
কোচ নেতা শিক্ষক যুগল কিশোর কোচ বলেন, ‘বাইরে থেকে অনেক লোক পাহাড়ি এলাকায় ঢুকে আদিবাসীদের জমিজিরাত হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বাধা দিতে গেলে উল্টো নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের কোনো প্রকল্প পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী কোনো জাতিগোষ্ঠীর যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না করে তিনি সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।