ঝিনাইদহে ৪২৮ চালকল কালোতালিকাভুক্ত: বোরো সংগ্রহ ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ্: ঝিনাইদহে চলতি বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮ চালকলকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় জেলায় চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ঝিনাইদহ খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪৮৬টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি চালকল সরকারের চাল ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল আজও কোনো চুক্তি করেনি। অন্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে চালের দাম কম থাকায় চালকল মালিকরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য আগ্রহ দেখালেও এবার ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেন জানান, এবার জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। যেসব চালকল মালিক চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদফতর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল মালিক জানান, জেলার কোথাও সরকার-নির্ধারিত ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। আর্দ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৩৮ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে আর্দ্রতাযুক্ত চাল কেনা হয় না। আর্দ্রতামুক্ত প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি করলে কেজিপ্রতি পাঁচ-ছয় টাকা লোকসান হবে। কেউ কেউ শুধু লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে প্রত্যেক ডিলারের প্রায় লাখ টাকা করে লোকসান হবে।