প্রতিনিধি, পিরোজপুর :পিরোজপুরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাসিন্দারা। তালিকায় রয়েছে পুরোনো ডিসি অফিস ও পুলিশ লাইনসের কিছু ভবন ও হাসপাতালের মতো জনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, পিরোজপুর দেড় শতাধিক বছরের পুরোনো একটি মহাকুমা, যা ১৯৮৬ সালে জেলায় উন্নীত হয়। গণপূর্ত বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলায় সরকারি-বেসরকারিসহ প্রায় এক হাজার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে তালিকায় রয়েছে। পিরোজপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে পুরোনো ডিসি অফিস। অনেক পুরোনো ও স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এ ভবনে দুটি সরকারি অফিসসহ প্রায় সব কক্ষই ভাড়া দেয়া আছে। এ তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালও। রয়েছে পুলিশ লাইনসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের ভবন।
মূল শহরের ক্লাব রোডের গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মার্কেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভবনও রয়েছে এই তালিকায়। আট বছর আগে উত্তরা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংককে এ ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হলেও এখনও এসব ভবনে বহাল তবিয়তে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। ভাড়ার টাকা অগ্রিম জমা থাকায় মুখ খুলছেন না এখানকার ব্যবসায়ীরা।
পুরোনো ডিসি অফিসের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, আতঙ্ক, সন্দেহ, সংশয় ও ভয়ভীতি নিয়েই আমরা পুরোনো ডিসি অফিসে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কারণ আমরা নিরুপায়। কপালে যা আছে তা-ই হবে।
গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাবের ব্যবসায়ী প্রশান্ত ঘরামি বলেন, ‘আমি এই গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মার্কেটে ৩০ বছর ব্যবসা করছি। আট বছর আগে ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় দুটি ব্যাংক এখান থেকে চলে গেছে, কিন্তু আমরা ব্যবসা করছি। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা এখানে রয়ে গেছি। আমরা যেতে পারিনি। তবে আমরা এখানে আতঙ্ক নিয়েই ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছি।’
পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যেগুলো মেরামতে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। মেরামতের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্ত করা যায় কিনা দেখব। বাকি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে বিভিন্ন দপ্তর অপসারণের প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে অপসারণ করা হবে এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে।