টাই ম্যাচে গ্রুপ রানার্সআপ বাংলাদেশ

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে হারাতে পারলেই ইমার্জিং এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার শুরুর দিকে বোলিং-ব্যাটিং ভালো করলেও শেষটা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। তারপরও ম্যাচ হারেনি মুমিনুল হকের দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ‘টাই’ হওয়ায় লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠে গেল।

কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসও থামে ২৩৩ রানেই। যে কারণে ম্যাচটিতে দুই দলই এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আগে থেকেই পাকিস্তানের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তাতেই ‘বি’ গ্রুপের সেরা দল হয়েই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে মুমিনুল হকের দল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৭ রান। হাতে তখনও দুই উইকেট। ক্রিজে ছিলেন সাইফউদ্দিন ও নাইম হাসান। প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ রান নেওয়ায় শেষ বলে জয়ের জন্য দুই রান প্রয়োজন ছিল টাইগারদের। কিন্তু গোলাম মোদাসারের শেষ বলে সাইফউদ্দিন এক রানের বেশি নিতে না পারায় খেলা টাই হয়ে যায়। ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। গতকাল সকালে টস হেরে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। ৩৫ রানের মধ্যেই প্রতিপক্ষের চার উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিনরা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে পাকিস্তানকে পথ দেখান হ্যারিস সোহেল (৬৩)। তৃতীয় উইকেটে হাম্মাদ আজমের (৩০) সঙ্গে তিনি ৮৬ রানের জুটি গড়েন। কয়েক রানের ব্যবধানে আবুল হাসান ও নাসুম আহমেদ এ দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান। তারপরও হুসাইন তালাতের অপরাজিত ৫৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৩ রানে থামে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে সাইফউদ্দিন ৩টি, আবুল হাসান ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

২৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৪ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদকে হারায় বাংলাদেশ। তবে সেটা বুঝতে দেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। মূলত তার ব্যাটেই জয়ের পথে এগিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দলীয় ১১০ রানের মধ্যে নাজমূল হোসেন শান্ত ও নাসিরকে হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে লাল-সবুজরা। ঠিক এ সময়ে দলের হাল ধরেন মুমিনুল। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে ৭৩ রান যোগ করেন তিনি। টাইগার এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৯১ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে করেন ৭৫ রান। কিন্তু দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। শেষদিকে মিথুন ৫৩ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে জয়ের সমীকরণ কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের একটাই সান্ত¡না, আমরা হারিনি।