নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাস পাওয়া ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ডলারের সরবরাহ বাড়াতে টাকার মান কমাতে হবে। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক। ডলার সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাস পেলে রপ্তানিকারকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক ধরনের প্রণোদনা পাবেন। পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহও বৃদ্ধি পাবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, টাকার মান ও বিনিময় সমন্বয় করতে হবে। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হলে টাকার মান কমাতে হবে। দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমেনি বলে দাবি করে শামসুল আলম বলেন, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দশমিক ১৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এর পরিমাণ বেশি। কাজেই রেমিট্যান্স কমছে, এমন কথা সত্য নয়।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ একমত না হলে কিছু আসে-যায় না। প্রথাগতভাবে সরকার রিজার্ভ রক্ষা করছে। সরকার কোথাও কিছু লুকায়নি। এখনও ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ রয়েছে, যা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একনেকে আমরা একটা অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরেছি। সেখানে বলেছি, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে। রপ্তানি গত চার মাসে ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং রপ্তানি বেড়েছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এ বছর এসেছে ৪৫৭ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার। এলসি খোলার পরিমাণ ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন হয়েছে, যেটা গত অর্থবছর হয়েছিল ২০ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এতে রিজার্ভ শক্তিশালী হবে।