টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে না, থাকছে স্ট্যান্ডিং টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেয়া হলেও যাত্রীদের কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়া হবে। বিনা টিকিটে ট্রেনযাত্রা বন্ধ করতে টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ঈদের সময় ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে না। ঈদযাত্রা শুরুর আগের দিন গতকাল রোববার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘টিকিটবিহীন তথাকথিত যাত্রীদের আর ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ নেই। প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।’ ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে রেলকর্মীদের ছুটি থাকবে না বলেও জানান মন্ত্রী। এবার ঈদে বাড়ি ফিরতে রেলে আগাম টিকিট বিক্রি হয় ৭ এপ্রিল। প্রথম দিন দেয়া হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। অর্থাৎ এবার রেলের ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার।

এ যাত্রা শুরুর আগে আগে এবার তীব্র গরম ও সময় মেনে ট্রেন চলতে না পারার পাশাপাশি নতুন পদ্ধতিতে টিকিট কাটার বিষয়টি সামনে এসেছে। কালোবাজারি বন্ধে গত মাস থেকে নিবন্ধিত যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে টিকিট কাটা এবং যার নামে টিকিট তার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়।

এরপর একজন যাত্রী সর্বোচ্চ যে চারটি টিকিট কাটবেন, সবার নাম থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। অন্য বছর টিকিট কাটার ক্ষেত্রে এত বিধিনিষেধ ছিল না। এছাড়া ঈদযাত্রায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ভ্রমণ করেছেন স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে। এবারও স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে। তবে শর্তের কারণে নিবন্ধন না থাকলে কাটতে পারবেন না কেউ।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারই প্রথম শতভাগ অনলাইন মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন করেই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন। যাত্রার দিনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়া হবে। প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনে (সিটের) টিকিট এবং দাঁড়ানো (স্ট্যান্ডিং) টিকিট মিলে প্রায় ৪৫ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়বেন।’

সময়মতো ট্রেন ছাড়তে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যেটা চলছে, সেটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। তবে এক লাইনে ট্রেন চললে সেক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনা হলে শিডিউল সমস্যায় পড়ে।’

পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রেল সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ে মহাপরিচালক কামরুল আহসান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।