টেসলার বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জন লিঞ্চ ও ড্যাক্সটন হার্টসফিল্ড নামের প্রতিষ্ঠানটির সাবেক দুই কর্মী। তাদের অভিযোগ, গণহারে কর্মীদের অব্যাহতি দিয়ে ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে টেসলা। প্রতিষ্ঠানটি এসব কর্মীকে আগে থেকে অব্যাহতির ব্যাপারে কিছু জানায়নি। খবর: রয়টার্স।

টেসলার দুই কর্মী গত রোববার টেক্সাসে টেসলার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। তারা জানান, নেভাদা অঙ্গরাজ্যের স্পার্কস শহরে টেসলার গিগাফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন তারা। গত জুনে তাদের অপসারণ করা হয়। মামলার নথি অনুযায়ী, নেভাদায় টেসলার ওই কারখানার পাঁচ শতাধিক কর্মীকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে।

কর্মীদের অভিযোগ, গণহারে কর্মীদের অব্যাহতি দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন মানেনি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান।

তবে কতজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, সেই সংখ্যা জানায়নি টেসলা। এ ছাড়া দুই কর্মীর মামলা নিয়ে মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

ফেডারেল আইন অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের এভাবে চাকরিচ্যুত করতে চাইলে অন্তত ৬০ দিন আগে বিষয়টি জানাতে হয়। টেসলা সেটা না করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা।

আগাম নোটিস ছাড়া মে ও জুনে যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের জন্য এ মামলাকে একটি সম্মিলিত মামলার স্বীকৃতি চাচ্ছেন তারা। ইলন মাস্ক চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন, অর্থনীতি নিয়ে আমর অনুভূতি খুবই খারাপ। এ জন্য টেসলার প্রায় ১০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

টেসলার কর্মীদের এ-সংক্রান্ত একটি ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।

নোটিস দেয়া ছাড়া ছাঁটাই করার জন্য দুই কর্মী এখন ৬০ দিনের নোটিস সময়ের জন্য বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা চাচ্ছেন। সেসব পেতেই এ মামলা করেছেন তারা।

এছাড়া টেসলার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক শেয়ারহোল্ডার এ কারণে মাস্ক ও তার পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতেও একই অভিযোগ ওঠে টেসলার বিরুদ্ধে।