নিজস্ব প্রতিবেদক: হাজারীবাগের ১৫৪টি ট্যানারি মালিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া প্রায় ৩১ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে ট্যানারি মালিকদের। এ বিষয়ে আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে নির্ধারিত সময়ে স্থানান্তর না করায় ১৫৪ ট্যানারি মালিককে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছিলেন। গত জুলাই মাসে সে রায়ের পর আগস্ট পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু পরে আর ঠিকমতো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি।
তিনি বলেন, এতে আমরা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেছিলাম। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যর্থতার কারণে গত ২৫ জানুয়ারি শিল্প সচিবকে তলব করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। তলবের প্রেক্ষিতে তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাজির হলে আদালত তাকে কোম্পানিগুলোর বকেয়া অর্থ, বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও এর পরিমাণ জমা দিতে বলেছিলেন।
সে অনুযায়ী বুধবার (১ মার্চ) শিল্প সচিব আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। যাতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। আদালত আজ সেই বকেয়া অর্থ দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে নিতে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় গত বছর ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। গত ১০ জানুয়ারি শিল্প সচিব আরেকটি প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন, যেখানে দেখা যায় গত আগস্ট মাসে ১৫০টি কোম্পানি ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে।