Print Date & Time : 13 September 2025 Saturday 2:28 am

ঠাকুরগাঁওয়ের অস্থায়ী মাছ বাজার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে

শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন একটি মাছের বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অস্থায়ীরূপে গড়ে উঠা এ মাছ বাজরটি গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বাসিন্দাসহ মাছ ব্যবসায়ীদের জন্যও।

জানা গেছে, দেশে দ্বিতীয় ধাপে কভিডের প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন। যেখানে বাজারটি স্থানান্তর করা হয় তার কাছে পাবলিক লাইব্রেরি, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব ও মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনের অবস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই সাধারণত এই অস্থায়ী মাছবাজারের রাস্তাটি ব্যবহার করে। এছাড়া একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দেয়ালঘেঁষে বাজারটির অবস্থান।

কভিডের প্রভাব কমার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মাছ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা বারবার জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করে। কিন্তু বাজারটি সরিয়ে আগের অবস্থানে নেয়ার কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সমস্যার সম্মুখীন সবাই।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, মাছের বাজারটি এখানে স্থানান্তরের সময়ই স্থান নির্বাচনে আপত্তি করেছিলেন শহরের বাসিন্দারা। কারণ এমন একটি স্থানে মাছ বাজার বেশ বেমানান। এখন তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, আমাদের শিশুরা এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে। মাছের পানির দুর্গন্ধ তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষতিকর। সেই দুর্গন্ধ স্কুলের ভেতরেও আসছে। তাই শিগগির বাজারটি সরানো উচিত।

ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, মাছের বাজরটির অবস্থান জেলার বেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মাঝেই। এটা দেখতে যেমন খারাপ লাগছে। তেমনি মাছের পানির দুর্গন্ধে এই রাস্তা ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পরেছে। আমি একাধিকবার প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ডিসিকে জানিয়েছি। কিন্তু এক রকম অলসতায় তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ডিসি মাহবুবুর রহমান জানান, কভিডের কারণে বাজারটি অস্থায়ী ভাবে সেখানে নেয়া হয়েছে। সমস্যা সম্পর্কে অনেকে আমাকে জানিয়েছেন। শিগগির বাজারটি সরিয়ে আগের নির্ধারিত স্থানে নেয়া হবে।