ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩

প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম ইসলাম রাজু (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাইম ইসলাম রাজু ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাইম ইসলাম রাজুকে প্রধান আসামি করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায়  একটি মামলা করে। এ মামলার তিনজনকে আটক

করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামিরা হলেনÑনাইম ইসলাম রাজুর বাবা নজরুল ইসলাম, তার মা নাসিমা বেগম, ও তার খালু কামাল হোসেন। মামলার অন্তর্ভুক্ত আসামিরা হলেনÑনাঈম ইসলাম রাজু (২২), নাজমুল ড্রাইভার (৩০), সবুজ (২৫), সুমন (২৫), বাবু- ওরফে বড় বাবু (৩২), মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু, নাসিমা বেগম (৪৫), আ. হান্নান কাজী ও নজরুল ইসলাম (৫২)।

অন্যদিকে রাজুর পরিবারের দাবি, মামলাটি সাজানো, প্রেমের কারণে পালিয়ে বিয়ে করাটাকে ধর্ষণ ও অপহরণের মোড়কে সাজানো হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন সন্ধ্যা ৭টার সময় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উত্তর-পশ্চিম দিকে ফার্মে থাকা ওই স্কুলছাত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে নিজ বাড়িতে আসছিল। ওই স্কুলছাত্রী সুগারমিল কালি মন্দিরের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ঘেরাও করে ধরে নাঈম ইসলাম রাজুসহ তার সহযোগীরা। সেখানে ওই স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় ওয়াপদা কলোনির একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, সেখানে রাত ১০টার দিকে মামলার অন্যতম আসামি আ. হান্নান কাজীর পরামর্শে অজ্ঞাত কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার আসামি হান্নান কাজীর দুই ছেলে বাবু ওরফে বড় বাবু ও মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু ওই স্কুলছাত্রীকে জীবননাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১০০ টাকা মূল্যমানের দুই পাতা অলিখিত ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ওপরে দুটি এবং নীল পাতা সংবলিত রেজিস্টার বইয়ে একটি স্বাক্ষর জোরপূর্বক করিয়ে নেন।

নাইম ইসলাম রাজুর বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই স্কুলছাত্রী অনেক আগে থেকে আমার ভাইয়ের পেছনে ঘুরত এবং তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করত। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে বিচার সালিশ ও করেছে। দুই পক্ষের পরিবার সেটা জানে।

তিনি আরও বলেন, কোনো রকম অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, ওই মেয়ে নিজে এসেছে এবং আমার ভাইকে

ফাঁদে ফেলেছে। এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ কেন করেছে তাদের আসল উদ্দ্যেশ্য কি বুঝতে পারছি না আমরা। আমাদের হয়রানি করতেই এমন মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ১ নং আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে মূল বিষয় বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।