Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 4:58 am

ঠাকুরগাঁওয়ে হাত বাঁধা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে খায়রুন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন বাচ্চা না হওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূ গ্রামের তাজমুল হকের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে।

গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে তাজমুল হকের সঙ্গে খায়রুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে তার ওপর নানা সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। স্বামী তাজমুল হক, শাশুড়ি এবং চাচি শাশুড়ি দুলালি বেগম এ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।

খায়রুনের মা ও ভাই বলেন, আমাদের মেয়েকে প্রায় সময় নির্যাতন করা হতো। তারা খায়রুনকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন খায়রুন। সকালে গোয়ালের গরু বের না করায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাড়ির পাশেই শ্বশুরের কবরের ওপর হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাশুড়ি দরিফন বেগম বলেন, আমি আর আমার জামাই সকালে মরিচক্ষেতে ছিলাম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না। আগে ঝগড়া হতো, তবে গত দুই মাস কোনো ঝগড়া হয়নি।

চাচা শ্বশুর এ কে এম মানিক বলেন, রাতে খায়রুন ঘুমিয়েছিল। সকালে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে ভুট্টাক্ষেতে তার জুতা দেখে সন্দেহ হলে খোঁজ করতে করতে শ্বশুরের কবরের পাশে মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।