ডলার সংকটের প্রভাব পড়বে হজে, বাড়বে ব্যয়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলার সংকটের প্রভাব পড়বে এবারের হজে। গত বছরের তুলনায় এবার ব্যয়ও বাড়বে হজযাত্রায়। হজ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বেইলি রোডে নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। খবর: বাংলা ট্রিবিউন।

গত বছর হজে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৫৬ হাজার ৯৫২ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১-এর খরচ হয়েছিল জনপ্রতি পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২-এ খরচ হয় জনপ্রতি পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সর্বনিন্ম খরচ ধরা হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

এবার হজের ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থায়ই আমরা হজের খরচ বাড়াতে চাই না। যে ব্যয় গত বছরে হয়েছিল, সেটাই রাখার চিন্তা করছি। তারপরও কিন্তু খরচ বাড়বে। কেন বাড়বে সেটা বলি, সৌদি রিয়ালের দাম গত বছর ছিল ২১-২২ টাকা, আর এখন প্রতি রিয়ালের দাম বাংলাদেশি ৩০ টাকা। আমরা দাম বাড়ানো ছাড়াই এমনিতেই ব্যয়  বেড়ে গেল এ কারণে। তারপরও আমরা চেষ্টা করব, যে করেই হোক, ব্যয় কম রাখার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব-বাংলাদেশ হজ চুক্তি ২০২৩’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ বছরও একটি সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

সৌদি আরব-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তির উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব-বাংলাদেশ হজ চুক্তি গত ৯ জানুয়ারি সম্পাদিত হয়েছে। হজ চুক্তি অনুযায়ী কভিড-উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণসংখ্যক হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন। এ বছর সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে গমন করবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ  হজযাত্রী পরিবহন করবে।

তিনি বলেন, এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের হজযাত্রীরা এ বছর হজে গমন করতে পারবেন। রোড টু মক্কা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে হজে গমনকারী সব হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে।

তবে কভিডের কারণে যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কভিড পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে হজযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৩৮ হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন এবং ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮ হাজার ১৬০ হজযাত্রী মদিনা বিমানবন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন।