নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশজুড়ে কারখানা শুমারির মাধ্যমে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিন হাজার ৬৩০টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) শীর্ষক ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় এসেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে, যা ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এবং এমআইবি প্রকল্পটি লডেস ফাউন্ডেশন এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে কাজ করছে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ) প্রকল্পটিতে প্রয়োজনীয় কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে।
এমআইবির উদ্দেশ্য হলো, দৃঢ়ভাবে তথ্য যাচাইকরণ এবং তথ্যের সত্যতা সমর্থনের বিধিমালা অনুসরণ করে এ খাতের সব অংশীদারদের পোশাক কারখানাগুলোর সঠিক, বিশ্বাসযোগ্য ও হালনাগাদ করা তথ্য সরবরাহ করা, যাতে আরও বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।
ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত পোশাক কারখানার ডেটাবেইজ দিয়ে এমআইবি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা করেছে। ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষকরা সম্প্রতি একটি প্রকাশনায় দেখিয়েছেন যে, দেশের তিন হাজার ২১২টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ শ্রমিকের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক এবং ৫৮ শতাংশ নারী শ্রমিক। এছাড়া মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের জুন মাসে এমআইবি ডেটাবেজ থেকে তথ্য নিয়ে দুই হাজার ৩৩৪টি কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচালিত ত্বরিত জরিপে জানা যায়, মহামারির সময়ে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএর সদস্যপদ থাকা কারখানাগুলো উৎপাদন ক্ষমতার ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যবহারে সক্ষম ছিল, যেখানে সদস্যপদবিহীন কারখানার এ সক্ষমতা ছিল ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) উপদেষ্টা ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের দলনেতা অধ্যাপক ড. রহিম বি তালুকদার জানান, ‘আমাদের পোশাকশিল্পে এমন অনেক কারখানা অবদান রাখছে, যারা বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর মতো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য নয়। এই সদস্যপদবিহীন কারখানাগুলোরও রপ্তানি খাতে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।’
৫৫৫টি সদস্যপদবিহীন পোশাক কারখানার নমুনা নিয়ে এমআইবির একটি ত্বরিত জরিপে দেখা যায়, দেশে করোনাকালে অতিমারি শুরুর সময়ে এ কারখানাগুলোয় ৮৬ হাজার ৬৯৭ শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন এবং এসব কারখানা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৫৮ হাজার শ্রমিক, যা কিনা কারখানাপ্রতি ২২৬ শ্রমিক।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ম পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স অফিসার আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে যেমন এমআইবি ডেটাবেজের তথ্য নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে এ তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠনে ও পোশাক খাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ম পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স অফিসার আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে যেমন এমআইবি ডেটাবেজের তথ্য নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে এ তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠন ও পোশাক খাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।’