Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 9:45 am

ডুমুরিয়ায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে  নির্মিত হচ্ছে সুপার মার্কেট

 

শুভ্র শচীন, খুলনা; খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামে দুই একর ১০ শতক জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘ভিলেজ সুপার মার্কেট’। নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবির অর্থায়নে প্রায় ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকমতো কাজ শেষ হলে আগামী বছরের প্রথমদিকে মার্কেটটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যায্যমূল্যে তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কৃষি পণ্য কিনে বিভাগীয় শহরের সুপারশপে ও বিদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে টিপনা গ্রামের শেখবাড়ির সামনে ‘ভিলেজ সুপার মার্কেট’ নামের এ মার্কেটটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ইন্টারন্যাশনাল এনজিও ‘সলিডাড়িডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’। উদ্যোগ বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মার্কেটটির আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। যার নির্মাণকাজ বর্তমান চলমান অবস্থায় রয়েছে। ২০১৮ সালের প্রথমদিকে মার্কেটটি চালু করা সম্ভব হবে।

অত্যাধুনিক এ মার্কেটে ডিপো, ১০ হাজার লিটার উৎপাদনক্ষমতার চিলার আইস ফ্যাক্টরি, আধুনিক মসজিদ, ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল রুম, হর্টিক্যালচার প্রসেসিং জোন, হর্টি প্যাকেজিং জোন, অ্যাকোয়া প্রসেসিং জোন, অ্যাকোয়া প্যাকেজিং জোন, অ্যাকোয়া আড়ত, ব্যাংক, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, ফার্মার ট্রেনিং সেন্টার, অফিস সিকিউরিটি রুম, টয়লেট জোন ও বাউন্ডারি ওয়াল প্রভৃতির ব্যবস্থা থাকবে।

এলাকার কৃষক রাজিউল বারী সৈকত ও শফিকুল ইসলাম জানান, মার্কেট চালু হলে কৃষকদের সরাসরি পণ্য বিক্রির অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এছাড়া অর্থনীতিতেও বড় ধরনের ভূমিকা থাকবে।

ভিলেজ সুপার মার্কেটের সাইট ইঞ্জিনিয়ার অনিরুদ্ধ কুমার সরকার বলেন, ইতোমধ্যে মার্কেটটির ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের প্রথমদিকে মার্কেটটি চালু করা সম্ভব হবে। আর মার্কেটটি চালু হলে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোর এলাকার তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষিপণ্য (ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, মাছ প্রভৃতি) কিনে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর সুপারশপে বিক্রি করা হবে, বিদেশেও রফতানি করা হবে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে এ মার্কেটে।

তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যাতে কোনোভাবেই প্রতারিত ও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড মনিটরিং করবে। এ মার্কেটে মধ্যস্বত্বভোগীরা কোনো সুবিধা করতে পারবে না। ফলে কৃষকরাই লাভবান হবে।