Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 3:48 pm

ডেঙ্গুর চেয়েও মারাত্মক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডেঙ্গু মশা মারাত্মক, বিএনপি আরও বেশি মারাত্মক। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়ে আরও বেশি মারাত্মক বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে খামারবাড়ী গোলচত্বর এলাকায় কৃষক লীগের আয়োজিত ডেঙ্গু (এডিস) মশা নিধন ও সচেতন তৈরি কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেঙ্গু মশা কামড়ায় এবং বিএনপি আগুন জ্বালায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশার চেয়েও বিএনপি অনেক মারাত্মক।

তিনি বলেন, করোনার মহামারিসহ সব বিপদে নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য যেমন সুরক্ষা করছে, তেমনি মানুষের পাশে খাদ্য নিয়েও পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কভিড মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমাদের দলীয় ১২ সংসদ সদস্য কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক মানুষ এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক দেশে আমাদের তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর হার অনেক বেশি। মৃত্যুর হারও সেখানে বেশি। আমাদের সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার, রাজনৈতিক কর্মসূচি দরকার, কোনো দল আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বা ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য কোনো কর্মসূচি দেয়নি। আজকে কৃষক সেটি শুরু করতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বলুন, কৃষকের পাশে দাঁড়ানো বলুন, করোনার সময় মাঝেমধ্যে ফটো সেশন ছাড়া তাদের আর কোথাও দেখা যায়নি। এখন আছেন তারেক জিয়া ও জুবায়দা রহমানের কেন শাস্তি হলো সেটা নিয়ে। তারা রাজনীতিটা জনগণের জন্য করেন না। বিএনপি রাজনীতি করে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও তাদের পরিবারের জন্য।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এমন এক দল যারা কাউকে মেম্বার ইলেকশনও করতে দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলের ইলেকশন করতে দিচ্ছে না, নির্বাচন করলে বহিষ্কার করছে। মানুষ এ দল কেন করবে, যে দল করলে কোনো নির্বাচন করা যায় না? এই হচ্ছে বিএনপি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া বিএনপিকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে চায়। বিএনপিকে তারা সংসদে চায় না, বিএনপিকে তারা ইউনিয়ন পরিষদে চায় না।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কৃষিবিদ সুব্রত কুমার দাস। কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় কর্মসূচি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা, আবদুল লতিফ তারিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বানাথ সরকার বিটু, শামীমা আক্তার খানম, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ ড. হাবিব মোল্লা, অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।