নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু মশার লার্ভা মারতে সারা বছরই কাজ করতে হবে এবং যে ওষুধে মশা মরে, সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কর্তৃক ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু অনেক বেশি। আরও চিন্তার কথা, ঢাকা থেকে এখন ঢাকার বাইরে আক্রান্ত রোগী বেশি। এই সংক্রমণ ঠেকাতে হলে মশা জš§ানোর আগেই লার্ভা মারতে হবে। এই লার্ভা মারতে সারা বছরই কাজ করতে হবে এবং যে ওষুধে মশা মরে, সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ বছর অধিক হারে বাড়ছে। এজন্য আমাদের একযোগে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কভিড-১৯ যেভাবে আমরা মোকাবিলা করেছি, সেভাবে কোনো রকম ভেদাভেদ না রেখে কাউকে দোষারোপ না করে, সকলে মিলে একসঙ্গে ডেঙ্গু কমাতে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত রোগীর তুলনায় বেশি বেড প্রস্তুত রয়েছে। টেস্টিং কিট ও স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। তবে রোগী আরও বেশি বেড়ে গেলে তখন সমস্যা হবে। এজন্য এখনই একযোগে সবাই মিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে।
সভায় চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক থেকে ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল অফিসের প্রথম সচিব ল্যাং ল্যাং, সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিচাও ঝং এবং একই কোম্পানির চিফ বিজনেস ডিরেক্টর বেটি লি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান প্রমুখ।