Print Date & Time : 29 August 2025 Friday 5:35 am

ডেনমার্কের মায়ের্কস শিপিং লাইনের ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন খালি জমি লালদিয়া চরে টার্মিনাল তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ডেনমার্কের শিপিং প্রতিষ্ঠান মায়ের্কস শিপিং লাইন। লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠানটি প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বা ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। মায়ের্কসের এ আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও। চট্টগ্রাম বন্দরে যত কনটেইনার হ্যান্ডল হয়, তার এক-তৃতীয়াংশই হলো মায়ের্কসের কনটেইনার।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ মার্চ অবৈধভাবে দখলে থাকা দুই হাজার ৩০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করে লালদিয়ার চর দখলমুক্ত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫২ একর জমির চারপাশে দেয়া হয় সীমানা প্রাচীর। বালি-মাটি ফেলে পুরো ভূমি সমতল করা হয়। দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা সেই লালদিয়ার চরই এখন বন্দরের জন্য বিনিয়োগ আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

মায়ের্কস শিপিং লাইনের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার আগে লালদিয়ার চরকে পার্শ্ববর্তী পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের ব্যাকআপ ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এবার এর চেয়ে আরও ভালো সুযোগ আসায় বন্দর কর্তৃপক্ষ তার সদ্ব্যবহার করতে চায়।

বিদেশি এই প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ ও বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, মায়ের্কস শিপিং লাইন লালদিয়ার চরে জিটুজি ভিত্তিতে টার্মিনাল তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি লালদিয়ার চরে টার্মিনাল তৈরি করে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে জয়েন্ট অপারেশন বা বিল্ড অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত সক্ষমতা দিয়ে চলতি সময়ে দেশের আমদানি ও রপ্তানির কার্যক্রম সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ২০৩০ সালের বর্তমানের চেয়েও অর্থনীতির আকার বাড়বে তিনগুণ এবং ২০৫০ সালে পাঁচগুণ হবে। এ কারণে আমাদের বন্দরকে ঘিরে বিদেশি বন্দর ব্যবস্থাপনায় জড়িতরা পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনালসহ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে পাঁচ থেকে সাত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে।