ঢাকামুখী বাস সিরাজগঞ্জ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: ঈদের ছুটি কাটিয়ে লকডাউনের মধ্যে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার কর্মজীবী মানুষ।

গতকাল রোববার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাসও চলতে দেখা গেছে।

পুলিশ বলছে, অনুমোদিত যানবাহন বাদে সব বাস চলাচল বিকেল থেকে বন্ধ করে দেয়া হবে, রাস্তায় দূরপাল্লার বাস দেখলে ফেরত পাঠানো হবে।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ছুটির সুযোগ নিয়ে অনুমতিবিহীন কিছু পরিবহনের বাসও যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। অনুমতিবিহীন সব যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হবে। এ অবস্থায় মহাসড়কে যাদের পাওয়া যাবে তাদের ফিরিয়ে দেব আমরা।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, ‘মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস দেখলে ফেরত পাঠানো শুরু করেছি। দুপুর থেকে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে অন্য যানবাহনে বাধা দেয়া হচ্ছে না।’

দূরপাল্লার বাস চলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মিজবাহুল ইসলাম লিটনও। তবে তিনি দুষছেন শ্রমিকদের।

এদিকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে মহাসড়কে ঢাকামুখী শতাধিক যাত্রীবোঝাই বাস বিকালে আটকে দিয়েছে পুলিশ। কভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে এসব বাসের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।

মহামারিতে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার পরও ঈদের আগে অনেক বাস যাত্রী নিয়ে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছিল। পুলিশ বলেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী এসব বাস আটকে দেয়া হয়েছে। পরে বাসগুলোকে উল্টোপথে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে কোনো যাত্রীবাহী বাস পার হতে দেয়া হবে না। সকাল থেকে পুলিশ যাত্রীবাহী বাসগুলোকে বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে দেয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করতে সংযোগ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

বাস চলাচল বন্ধ করা হলেও ছোট ও হালকা যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়নি। ফলে অনেকে বিকল্প উপায়ে ঢাকা ও এর আশপাশ জেলায় কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা করছেন।