নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে বিএনপি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাডার ঢাকায় আনছে বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নাশকতা করবেন? অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে আসতে বলেছেন, ক্যাডাররা আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে আত্মীয়ের বাড়িতে উঠছে। নাশকতা করার জন্য হোটেলগুলো খালি নেই, সব বুকড হয়ে গেছে।’
টাকা দিয়ে ক্যাডার আনা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই নাশকতার সমুচিত জবাব আমরা দিতে প্রস্তুত হচ্ছি। বাড়াবাড়ি করবেন না, খবর আছে।’
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক উপ-কমিটি।
বিএনপির ‘শেষ বার্তায়’ কোনো কাজ হবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন।
বিএনপি ক্ষমতা পাবে, এমন বার্তা কোথা থেকে পেল প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যতদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, ততদিন কোনো বার্তা দিয়ে, কোনো আল্টিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না।’
কাদের বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। সংবিধান আমাদের নির্বাচনের চালিকাশক্তি। সংবিধান যা বলবে, আমরা তা-ই করব। বন্ধুদের পরামর্শ শুনব, কিন্তু সংবিধান থেকে আমরা এক চুলও নড়ব না। এটা হলো আমাদের থেকে বার্তা। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, দেশি-বিদেশি বন্ধুদেরও আশ্বস্ত করলাম, ইলেকশন ফ্রি, ফেয়ার ও অ্যাকসেপ্টেবল হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বদনাম করা হয় ২০১৮ সাল নিয়ে। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো এসব অভিযোগ ছিল না। সেই ইলেকশনে মাত্র ৩০টা সিট পেল বিএনপি। সেটা নিয়ে তো দেশে-বিদেশে কোনো প্রশ্ন ছিল না। আমরা এবার কোনো খুঁত রাখব না। একদম ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করে সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দেব, আমরাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র চাই।’
বিএনপি হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি শুরু করেছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতা আমাদের আমলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে? আজকে মির্জা ফখরুল শেষ বার্তা দিচ্ছেন, কীসের বার্তা, কোথা থেকে এলো এই বার্তা, কেন দিচ্ছেন এই বার্তা ক্ষমতায় আসার জন্য? দেখতে দেখতে ১৫ বছর গেল, ১৫ বছরে কমপক্ষে এক হাজার ৫০০ বার্তা তারা দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও তারিক সুজাত বক্তব্য দেন।