নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মোহাম্মদ আলী (১৮) নামে এক যুবক গুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় ঢাকার সিএমএম কোর্টে মামলা করেছেন মোহাম্মদ আলীর বাবা মোমিন মিয়া। মামলায় দৈনিক শেয়ার বিজ কড়চার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ফারুক আলমকে ৮০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি ওই সময় লালমনিরহাটে দায়িত্বরত ছিলেন। এ মামলার বাদী মোমিন মিয়া বলছেন, ‘অনেকের সঙ্গে কথা বলে তালিকা করা হয়েছে। মামলায় সাংবাদিক ফারুক আলমের নাম থাকার কথা নয়।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাত্রাবাড়ী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করে। যাত্রাবাড়ী হাইওয়ে সড়কের মাছের আড়তের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি করে। এসময় তাদের ছোড়া গুলি মোহাম্মদ আলীর কোমরের ডান পাশে লাগে। দীর্ঘ চিকিৎসার পরে তিনি সুস্থ হন। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৮৩ জনের নামে মামলা করে। ওই মামলায় লালমনিরহাটে দায়িত্বরত সাংবাদিক ফারুক আলমকে ৮০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মোমিন মিয়া বলেন, ‘মামলা করেছি। তালিকা করা হয়েছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে তালিকা করা হয়েছে। মামলায় সাংবাদিক ফারুক আলমের নাম থাকার কথা নয়।’ মামলার সাক্ষী ও মোমিনের ভায়রা ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক ফারুক আলমের নাম কী করে এলো তা সঠিক বলতে পারছি না। থাকলে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। সংশোধন করা যাবে।’
এ বিষয়ে সাংবাদিক ফারুক আলম বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত ছিলাম। বেশ কিছু সরকারি দপ্তরের সিসিটিভি ফুটেজও তার প্রমাণ বহন করে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে জেলা ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই।’