ঢাকার জলাবদ্ধতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা আসলে আমাদের জাতীয় ইন্ট্রিকেটের (জটিলতা) একটি অংশ। আমি যদি ঢাকা শহরের কথা বলি, সেখানে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পর তারা কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে, কিছু খাল সংস্কার করেছে। তাতে গত বছর আমরা অবস্থার কিছু উন্নতি লক্ষ করেছি। এ বছরও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন কয়েকটি খালের উচ্ছেদ অভিযানে আমরাও অংশ নিয়েছি। তাই স্বাভাবিকভাবে আমরা মনে করি এ বছরও আমরা মোকাবিলা করতে পারি। জলবায়ুর ওপর তো কারও হাত নেই। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কখনও কখনও বিশ্বের সব দেশেই হয়। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি রয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বড় নদীগুলোয় ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নিচু দেশ হিসেবে অনেক নদীর চ্যানেল রয়েছে আমাদের, এতে অনেক সুযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে আমাদের দেশে বন্যা হয়। বন্যা যে সবসময় অভিশাপ তা নয়, আশীর্বাদও হয়। কারণ অনেক পলি বয়ে নিয়ে আসে। আমাদের ভূমি উর্বর, মানুষ সচেতন, সঠিক নেতৃত্ব আছে, যে কারণে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম।

নতুন নগরায়ণে শিশুদের খেলার মাঠ তৈরি করা এবং পুরোনো নগরের মাঠগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তাভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একটি আদর্শ নগরীতে কতটুকু হাউজিং হবে, কতটুকু খেলার মাঠ, রাস্তা, পার্ক, পানির ব্যবস্থা লাগবে, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমরা যখন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) করতে যাই, তখন এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। দেশের জনগণ, মিডিয়া, প্রশাসন এগুলো হলো শক্তি। এসব শক্তি একসঙ্গে না হলে কোনো কিছু পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মাত্র ছয় শতাংশ জায়গা রয়েছে রাস্তার জন্য। তা না হলে তো সব জায়গায় ঘর করে ফেলত, হাঁটার জায়গা থাকতো না। সব জায়গায় তো আবাসন ও স্কুল হবে না। এটা নির্দিষ্ট করতে হবে। আবাসন তো সব জায়গায় লাগবে না। ঢাকা শহরে কি সারাদেশের মানুষ থাকবে? প্রতিদিন ঢাকা শহরে পাঁচ হাজার লোক আসে, কারণ ঢাকা শহরে সব সুবিধা রয়েছে। তাই আমি তো রাতারাতি বাংলাদেশের সব জায়গায় সব সুবিধা পৌঁছে দিতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। স্কুলের সমস্যা ছিল, অনেক স্কুল হয়েছে। স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল, অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। এজন্য আমাদের সব সুযোগ-সুবিধা সব জায়গায় পৌঁছাতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে। গ্রাম নিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। আর আমাদের অর্থনীতির অবস্থা উন্নতি হবে তখন, যখন গ্রামেও গাড়ি বেড়ে যাবে। তখন সেখানে রাস্তা বাড়াতে হবে। তাই পরিকল্পনা নিয়ে নগরায়ণ করা উচিত। এজন্য আমরা ড্যাপ তৈরি করেছি। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও জানান তিনি।