এনায়েত করিম বিজয়, টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বালির পুরুস্তর জমেছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বালির মধ্যে গাড়ির চাকা স্লিপ করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা।
জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উন্নয়নকাজ ও বালিবাহী ট্রাক থেকে বালি পড়ে সড়কের ভেতরে দুই পাশে ডিভাইডার ঘেঁষে বালির পুরুস্তরের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের তারটিয়া উড়ালসেতু থেকে শুরু করে এলেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে এই বালির স্তর জমে আছে। সড়কের দুপাশেই দুই থেকে তিন ফিট প্রশস্ত করে বিক্ষিপ্তভাবে বালির পুরুস্তর জমে রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা।
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত গতির যানবাহনের কারণে মোটরসাইকেল আরোহীদের সড়কের কিনারা ঘেঁষে যেতে হচ্ছে। এই সময়ে বালির মধ্যে মোটরসাইকেল স্লিপ দিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝুঁকি নিয়েই তাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের ভেতরে দুই পাশে ডিভাইডার ঘেঁষে বিক্ষিপ্তভাবে বালির পুরুস্তর জমে আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বালিগুলো ফেলে দিচ্ছে না। এই বালির কারণে সড়কে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। ঈদ উপলক্ষে সড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ রাজধানী থেকে মোটরসাইকেলযোগে গন্তব্যে ফিরছেন। বিশেষ করে এই মোটরসাইকেল আরোহীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অন্য গাড়িগুলোকে সাইড দিতে গিয়ে বালুর মধ্যে চাকা স্লিপ দিয়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুত এই বালিগুলো সরানোর দাবি জানান তারা।
মোটরসাইকেল আরোহী গোলাম রাব্বানী রাসেল বলেন, ‘এই বালির কারণে অন্য যানবাহনগুলোকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের কিনারা দিয়ে যেতে হয়। তখন এই বালির ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হচ্ছে। বালির ওপর গাড়ি পিছলে যায়। মোটরসাইকেল পিছলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বালিগুলো সরিয়ে ফেলা জরুরি।’
মোটরসাইকেল আরোহী রাশেদ মিয়া বলেন, ‘মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বালির পুরুস্তর জমে আছে। বালিবাহী ট্রাক থেকে বালি পড়ে ও সড়ক উন্নয়ন কাজের কারণে এই বালির পুরুস্তরের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। বালির কারণে মোটরসাইকেল আরোহীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গাড়ি পিছলে দিয়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত বালির পুরুস্তরগুলো সরানোর দাবি জানাচ্ছি।’
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও সড়কটি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। বালির বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে। তারা ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূর-এ-আলম বলেন, ‘বালি সরানোর বিষয়টি আমাদের রুটিনকাজ। ঈদের আগ মূহুর্তে বালি সরানো সম্ভব না। আর মোটরসাইকেল মহাসড়কে ওঠার পারমিশন নেই। এটা সার্ভিস রোড দিয়ে যাওয়ার কথা। যদি কেউ রিস্ক নিয়ে যায় সেটার দায় তার। সাধারণত গাড়ি চললে ৭ থেকে ১০ দিন পরপর এই বাুর স্তর পড়েই।’
