Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 10:34 pm

ঢাকা দক্ষিণে থাকছে আটটি মোবাইল কোর্ট

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির এলাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনার ১৩টি কাঁচাবাজার এবং বিভিন্ন সমিতির ব্যবস্থাপনায় ১৬টি বাজারে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন।

গতকাল হাতিরপুল কাঁচাবাজার পরিদর্শনে গিয়ে দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারসহ ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা এ সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত কাঁচাবাজারগুলোয় নজরদারি করবেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে আটটি মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

তিনি বলেন, তারা সব বাজারগুলো ঘুরে দেখবেন। কেউ যাতে অতিরিক্ত দাম রাখতে না পারে। বাজারে আমরা ইতোমধ্যে মূল্যতালিকা টানিয়ে দিয়েছি। আমরা বসে থাকব না। অতিরিক্ত দাম কেউ রাখলে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেব। ক্রেতারাও নির্ধারিত দামে পণ্য ক্রয় করবে। আর পণ্যের দামের যে তালিকা টানানো হয়েছে, তা অনুসরণ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সাঈদ খোকন।

সে সময় মেয়র হাতিরপুল বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে চালের দাম কেজিতে তিন টাকা করে বেশি রাখার দায়ে এ সময় একটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যে ভেজাল রুখতে বিএসটিআই ঢাকায় প্রতিদিন চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কথা রয়েছে। সঙ্গে জেলা পর্যায়ে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বিএসটিআই। একইভাবে চলতি রমজানে প্রতিদিন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বৈধ্যতা নিয়ে আলাদা তিনটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১১ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ধারাসহ ১১টি বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে রায় দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে চেম্বার আদালত ওই রায় স্থগিত করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে বাধা নেই।