প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ২০২৪ সালের জুনে রেল চলাচল করবে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল এলাকায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলের ট্রায়াল রান করতে পারব। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত (দ্বিতীয় অংশের) কাজের অগ্রগতি সন্তোজনক। এ পথে প্রায় সব সেতু হয়ে গেছে। তবে ছোটখাটো কিছু কাজ রয়েছে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চালু হলে
অনেক পথ কমে যাবে, পাশাপাশি সময় বাচবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। একাজ শেষ হওয়ার পর ভাঙ্গা থেকে পায়রাবন্দর হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করার কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, একদিকে কভিড, পরবর্তীকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধÑএমনই একটি বৈরী সময়ে আমরা এ প্রকল্পের কাজ করছি। একসময় রেলকে মৃত সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতে রেল যেভাবে আমরা পেয়েছি, পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু রেলকে বিস্তৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রেল শুধু পেছনের দিকে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন। যে দেশ যত উন্নত, সে দেশে রেল তত উন্নত।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ চলমান। শিগগির এই রুটে রেল চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ৬৪ জেলায় রেল নেয়ার পরিকল্পনা করেন। সে লক্ষ্যে ভারসাম্যপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। গত ১২-১৩ বছরে দেশে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রেল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের ডিসি মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিমউদ্দিন, ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সী, প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।