ঢাবি থেকে বহিস্কৃতদের তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী 

প্রতিনিধি, জবি : জুলাই বিপ্লবে ছাত্রলীগ কতৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ১২৮ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বহিস্কৃত ১২৮ জনের তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর নাম থাকায় সমালোচনার জড় উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

বহিস্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন সানিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান আকাশ।

ইব্রাহিম সানিমের বিষয়ে অভিযোগে বলা হয়েছে, সে ভিসি চত্বর এলাকায় নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। আরেক ছাত্রলীগ নেতা আকাশের অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তাকে লাঠি হাতে মিছিলে প্রথম সারিতে দেখা যায়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, যেই দুইজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হামলার সাথে জড়িত ছিল। ইব্রাহিম হোসাইন সানিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। কিন্তু তার বহিষ্কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন করবে? কিভাবেই বা তাকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিতে পারে।

তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করলে তো সেটা বহিষ্কার হবেনা। বরং অপরাধী বেচে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাকছুদুল হক বলেন, আমরা চাই সানিম সহ যারা হামলার সাথে জড়িত তাদের বিচার হোক। কিন্তু সেটা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় হতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। সানিম হামলা করেছে এটা সবাই জানে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত কারো বিরুদ্ধে নেয়নি। 

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার তো হওয়া যাবেনা। সে তো সেখানকার শিক্ষার্থী না। এগুলা কিভাবে করলো তারাই ভালো জানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে সিন্ডিকেটে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এ তালিকায় আছে, তাদের বহিষ্কারের অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো অবহিত না। আমরা কোন চিঠি পাইনি। যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায় নিশ্চয় আমরা তখন জানবো এবং ব্যবস্থা নিতে পারবো।