Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 8:33 pm

তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আগামীর বাংলাদেশকে একটি আলোর ছবি হিসেবে দেখতে পায়। তাদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ একটি মহান অনুভূতি নিয়ে পূর্ণতা প্রদর্শন করবে। তরুণরা বর্তমান বাংলাদেশের প্রযুক্তি, সমাজ, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে সহায়তা করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক ঐক্য ও মানবিক বিনয় একত্রিত রয়েছে। তবে এই দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি এখনও অপেক্ষমাণ। এই অপেক্ষার পেছনে তরুণদের প্রশাসনিক দক্ষতা, উদ্যম ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ হলো একটি প্রগতিশীল দেশ, যেখানে শিক্ষা, প্রযুক্তি ও নৈতিকতা সমানভাবে উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তিতে নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে তাদের মতামত ও উদ্যোগের প্রতি সমর্থন দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার মাধ্যমে তারা নৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা বজায় রাখতে পারছে।

একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ তরুণদের চোখে অর্থবান ও পরিবেশবাদী হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে নতুন উদ্ভাবন ও উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে, যা একটি উচ্চমানের অর্থনীতি, বাস্তু সংস্কৃতির প্রতি সতর্কতা এবং পরিবেশের সমৃদ্ধির প্রতি গভীর সংশ্রয় দেখায়। তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ হলো একটি সাহসী, প্রযুক্তিবাদী ও সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের স্বপ্ন ও মূল্যবান কার্যক্রমের প্রতি সমান মৌলিক অধিকার রয়েছে।

তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ একটি সুন্দর, প্রগতিশীল, অর্থবান, পরিবেশবাদী ও সমৃদ্ধ দেশ। তরুণদের প্রশাসনিক দক্ষতা, উদ্যম ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা এই দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

তবে বাংলাদেশের উন্নতির জন্য তরুণদের অনেক পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেমনÑ ক. শিক্ষার প্রসার: তরুণদের শিক্ষার প্রসার এবং বিশেষভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া। নতুন বিষয়গুলোয় তাদের উৎসাহিত করা যাতে তারা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করতে উৎসাহিত হয়; খ. উদ্যোগ ও উদ্যোগশীলতা: তরুণদের নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করা উচিত। নতুন নতুন বিষয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা উচিত; গ. উদ্যোগের জন্য সাহায্য: তরুণদের নতুন উদ্যোগের জন্য ব্যবসায়িক, আর্থিক ও প্রকৌশলগত সাহায্য প্রদান করা উচিত এবং সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা; ঘ. সামাজিক সংশ্লিষ্টতা: তরুণদের মধ্যে সমাজের নীতিনির্ধারক হিসেবে আদর্শ থাকা উচিত। তাদের সামাজিক দায়িত্বের প্রতি উৎসাহ ও সমর্থন দেয়া উচিত; ঙ. পরিবেশ সংরক্ষণ: তরুণদের সচেতনতা ও দায়িত্বের দিক থেকে পরিবেশ সংরক্ষণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত; চ. দূরশিক্ষা ও কর্মসংস্থান: তরুণদের জন্য দূরশিক্ষা সুবিধা প্রদান করা উচিত এবং তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত; ছ. দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান: সকল প্রকার দুর্নীতি থেকে নিজেদের রক্ষা করে যারা দুর্নীতি করে তাদের দমনে সকলে একত্র হয়ে কাজ করা; জ. বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণদের বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। বেকারত্ব নিরসনে তরুণদের জন্য করণীয়: ১. কাজের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ: তরুণদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ নেয়া উচিত। তরুণদের উচিত পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য যেকোনো কাজে দক্ষ হয়ে ওঠা; ২. উদ্যোগশীলতা ও ব্যবসা কর্মকলা: তরুণদের উদ্যোগের জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য প্রদান করা উচিত, যাতে তারা তাদের ব্যবসা কর্মকলা শুরু করতে পারে; ৩. প্রবৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি: তরুণদের প্রবৃদ্ধি করার জন্য তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে, যাতে তারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারে; ৪. কর্মসংস্থান ও সরকারের প্রোগ্রাম: সরকার বা প্রাইভেট সেক্টরের কর্মসংস্থান প্রোগ্রাম প্রদান করে তরুণদের উন্নতি করতে সহযোগিতা করা; ৫. উদ্যোগ সমর্থন: তরুণদের উদ্যোগের জন্য সরকার ও ব্যবসায়িক সংস্থার সমর্থন ও অনুমোদন সহজতর করা ও ৬. প্রশাসনিক সুবিধা ও তথ্য প্রদান: তরুণদের জন্য প্রশাসনিক সুবিধা এবং তথ্য প্রদান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে সহযোগিতা করা।

এই পদক্ষেপগুলো তরুণদের বেকারত্ব নিরসনে সহায়তা করতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর এবং সমাজের মধ্যে সমন্বয় ও সমর্থন প্রয়োজন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ যেন তরুণদের চোখে প্রত্যক্ষ হয়, সেজন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

মিনহাজুর রহমান মাহিম

শিক্ষার্থী, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়