শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের সামরিক মহড়ার মধ্যেই বেইজিং ও তাইপের ১০টি করে যুদ্ধজাহাজকে একে অন্যের জাহাজগুলোর কাছ দিয়ে তাইওয়ান প্রণালিতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। একাধিক চীনা নৌযান প্রণালিটির মধ্যরেখাও অতিক্রম করেছে। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর তাইওয়ানের চারপাশে চীনের চার দিনের নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে চীন ও তাইওয়ানের যুদ্ধজাহাজগুলোকে খোলা সমুদ্রে দেখা গেল।
গত সপ্তাহে তাইওয়ানে পেলোসির সফর চীনকে ভয়াবহ ক্ষুব্ধ করেছে। এর বিরুদ্ধে তাদের পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো স্বশাসিত দ্বীপটির রাজধানীর ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। দেশটির অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাইওয়ান থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লেবু বা কমলাজাতীয় ফল, কয়েক প্রজাতির মাছসহ বহু পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
পেলোসির তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক পথও বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস এ মহড়াকে ‘পুনর্মিলন কার্যক্রমের’ অনুশীলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বেইজিং জানায়, যে ছয়টি অঞ্চলে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে কয়েকটি তাইওয়ানের আঞ্চলিক জলসীমার মধ্যে পড়ে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের কয়েকটি সামরিক জাহাজ, বিমান ও ড্রোন তাইওয়ান ও এর নৌবাহিনীর ওপর ‘আক্রমণের অনুরূপ’ মহড়া চালিয়েছে। এর ‘যথোপযুক্ত’ প্রতিক্রিয়া জানাতে তাইপেও বিমান ও জাহাজ পাঠিয়েছে।
শনিবারের মতো গতকালও চীনা বাহিনীগুলোকে তাইওয়ান প্রণালিতে দুই পক্ষকে ভাগ করা অনানুষ্ঠানিক মধ্যরেখায় ‘ব্যাপক চাপ’ সৃষ্টি করতে দেখা গেলেও তাইওয়ান মূলত চীনা জাহাজগুলোর ওপর কড়া নজরদারির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
তাইওয়ান জানায়, তারা তাদের উপকূলভিত্তিক জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও প্যাট্রিয়ট ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে। শনিবার চীনের সামরিক বাহিনী জানায়, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণপশ্চিম ও পূর্বে তাদের যৌথ মহড়ায় স্থলে হামলা ও সমুদ্রে আক্রমণের সক্ষমতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।