একটি সার্কুলারে ৮০০ জনের মত সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। শিক্ষাগত যোগ্যতায় বলা হয়েছিল,(ক) কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী/চার বছর মেয়াদী স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রী বা সমমানের ডিগ্রী; (খ) মাধ্যমিক এবং তদুর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাসমূহে ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণী বা সমমানের গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। কোন পর্যায়েই ৩য় বিভাগ/শ্রেণী/সমমানের গ্রেড পয়েন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদন করার তারিখ শুরু হলো। চার বছর অনার্স কিংবা মাস্টার্স সম্পন্নকারী যেসব প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে কোন তৃতীয় বিভাগ ছিল না এবং যারা ওই পদের জন্য চাকরি করার জন্য আগ্রহী ছিলেন, তারা আবেদন করলেন।
আবেদন করার তারিখ শেষ হলো। কয়েক মাস পর লিখিত পরীক্ষার আসন বিন্যাস দেয়া হলো। আসন বিন্যাস দেখে বোঝা গেল, লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ প্রার্থী। অর্থাৎ তারা সবাই সেই ৮০০ পদের বিপরীতে আবেদন করেছে। অথচ ৮০০ জনের মত প্রার্থী নিয়োগ পাবেন।
এই হচ্ছে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের অবস্থা। সবাই সার্টিফিকেটধারী বিএ, এমএ পাশ। রেজাল্ট ভালো। কিন্তু এদের সবাইকে চাকরির ব্যবস্থা করা ছোট এই দেশে আদৌ কি সম্ভব?
কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই সমস্যা সামনে আরো জটিলতর হবে। নিকট ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে, ১০০ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, আর সাড়ে তিন লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছেন।
লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।