নিজস্ব প্রতিবেদক: জুনের প্রথম সপ্তাহের অস্বস্তিকর গরমে মাঝে শীতল পরশ এনেছিল বৃষ্টি। চলতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। এতে লোডশেডিংও তেমন একটা ছিল না। তবে জ্বালানি তেল ও কয়লার সংকট না কাটায় স্থায়ীভাবে বিদায় নেয়নি লোডশেডিং। তাপমাত্রা বাড়ায় আবারও ফিরে এসেছে তা এবং ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
১৩ জুন ও ১৪ জুন বিকাল ৪টা পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে লোডশেডিংয়ের ঊর্ধ্বমুখী চিত্রই পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টায় সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। এছাড়া গতকাল বিকাল ৪টার সময়ও এক হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং ছিল। গতকাল (বিকাল ৪টা পর্যন্ত) সারাদিনই এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়।
সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন দুপুর ৩টা পর্যন্ত লোডশেডিং হাজার মেগাওয়াটের নিচে ছিল। এর মধ্যে দুপুর ১২টায় (ডে-পিক আওয়ার) ৭৮৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। ওই সময় চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৫০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার ছয় শতাংশ লোডশেডিং হয়। তবে বিকাল ৪টায় তা হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করে। ওই সময় এক হাজার ৭৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছিল, যা ছিল চাহিদার আট দশমিক ২০ শতাংশ।
বিকাল ৫টায়ও হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছিল। এরপর লোডশেডিং কিছুটা কমে। তবে রাত ১০টায় তা আবার এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় লোডশেডিং হয় এক হাজার ১১৮ মেগাওয়াট ও ১১টায় এক হাজার ৫৮৩ মেগাওয়াট। রাত ১২টায় এক হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়, যা ছিল চাহিদার ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গতকাল লোডশেডিং আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল এক হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। রাত ২টায় এক হাজার ৭৭৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়, যা ছিল চাহিদার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। রাতব্যাপী ছিল উচ্চহারে লোডশেডিং। সকাল ৮টায় তা কিছুটা দাঁড়ায় এক হাজার ৩৬৫ মেগাওয়াট। যদিও ৯টায় আবার তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৫৫৯ মেগাওয়াট, যা ছিল ওই সময়ের চাহিদার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিকালের দিকে লোডশেডিং আরও বৃদ্ধি পায়। গতকাল বিকাল ৪টায় লোডশেডিং হয় এক হাজার ৯০৫ মেগাওয়াট, যা ছিল ওই সময়ের চাহিদার ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে বিকাল ৫টায় তা বেশকিছুটা কমে দাঁড়ায় এক হাজার ২৭ মেগাওয়াট। এরপরও লোডশেডিং অব্যাহত ছিল বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) আপডেট তথ্য পাওয়া যায়নি।