নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডলার প্রবাহ কমে গেছে। তাই ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এতে গত আড়াই বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ২৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, তারল্য সংকটের মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ডলার আসা কমে গেছে। নিট বৈদেশিক মুদ্রা যখন আসে তখন ইকোনমিতে টাকা ঢুকানো হয়। যখন ডলার আসা কমে গেছে তখন উল্টো টাকা তুলে নিচ্ছি। গত তিন অর্থবছরে ২৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছি। যার বিপরীতে ২ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে এনেছি, যা বাজারে ছাড়তে পারিনি। যার কারণে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট বেড়েছে। আবার সরকারকে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেয়া বন্ধ করেছে। সরকার এখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে শোধ করছে। এ কারণেও সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এসব সংকট মেটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি শিগগির তা সমাধান হয়ে যাবে।
জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে প্রায় ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন বিক্রি করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। তবে এই তিন বছরে সামান্য কিছু ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসেবে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।