Print Date & Time : 26 July 2025 Saturday 10:14 pm

তিন কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ তিন কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকাল ৪টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন আনার জন্য চুক্তি করেছি। আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের দুর্ভাগ্য, কিছু মানুষ থাকে যারা সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তারা মানুষকে সাহায্য করে না, উল্টো ভয়ভীতি ঢোকানোর চেষ্টা করে। তারা ‘সবকিছু ভালো লাগে না’ রোগে ভোগে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আসবে কী আসবে না, দাম বেশি হলো কেন, দিলে কী হবে তারা এসব কথা বলে। তবে তাদের ধন্যবাদ, তারা যত সমালোচনা করেছে আমরা তত দ্রুত কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন কিনতে পেরেছি, আনতে পেরেছি। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আমরা এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হব। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করি মানুষের সেবা করে যেতে। বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই পাঁচজনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়। প্রথম ভ্যাকসিন নেন রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর আরও চারজনকে টিকা দেয়া হয়। এ সময় তাদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল শুধু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেই টিকা দেয়া হয়। বাকি চার হাসপাতালে আজ শুরু হবে প্রাথমিক পর্যায়ের টিকাদান কর্মসূচি।

গতকাল কর্মসূচি উদ্বোধনের পর অতি দ্রুত পাঁচ টিকা গ্রহণকারীকে হাসিমুখে ভ্যাকসিন নিতে দেখে প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান। তবে তার মন্তব্য ‘আগে নিলে বলবে, আগে নিল কাউকে দিল না; সবাইকে দিয়ে নিই, তারপর নেব।’

বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে এখনও করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি, সেখানে ‘সীমিত শক্তির’ বাংলাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে গ্রহণকারীদের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সাহস জোগান এবং সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এরপর সারা দেশে টিকা দেয়া শুরু করা হবে, যাতে দেশের মানুষ তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায়। উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

টিকার সমস্যা হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমরা যে তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনেছি, তার মধ্যে ৫০ লাখ এসে গেছে। এর পর থেকে আরও আসতে থাকবে। কাজেই এই ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না।

টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।

রুনু ভেরোনিকা কস্তার পর একে একে একই হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ, দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের শরীরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া হয়।