Print Date & Time : 7 July 2025 Monday 11:38 pm

তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক : নিজ দেশের কৃষকদের সুরক্ষা দিতে ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি কর বাড়িয়েছে ভারত। তাই রফতানি কমে যাওয়ার শঙ্কায় প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দামে। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো দাম কমেছে পণ্যটির, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহের চুক্তিতে গতকাল দাম কমে প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৬১৫ রিঙ্গিতে বা ৬৩১ ডলার ৩৪ সেন্টে। লেনদেনের শুরুতে এর দাম দুই হাজার ৬১২ রিঙ্গিতে নেমেছিল, যা ১৬ আগস্টের পর সর্বনি¤œ দর।

ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সস্তায় ভোজ্যতেল আমদানি করায় ভারতের স্থানীয় তেলের চাহিদা ও দাম কমে গেছে। এতে স্থানীয় উৎপাদনকারীরা আমদানি করা তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছেন না।

গত শুক্রবার সরকারি এক আদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ পণ্যটি আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির কথা জানায়, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আদেশে বলা হয়েছে, নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধিতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে, যা স্থানীয় চাষিদের তাদের প্রাপ্য পেতে সহযোগিতা করবে। নভেম্বর থেকে নতুন বিপণন বর্ষ শুরু হয়েছে। এ ২০১৭-১৮ বিপণন বর্ষে তেল আমদানি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনমতে, অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। পরিশোধিত পাম অয়েলের কর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ শতাংশ, যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ।

এছাড়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেলে ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শুল্ক করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর পরিশোধিত সয়াবিনে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আমদানি শুল্ক করা হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

ভারত শুল্ক আরোপ করায় রফতানি কমে যাবে বলে বাজারে উদ্বেগ ছড়িয়ে পরে। এ কারণেই মালয়েশিয়ায় ভোজ্যতেলের দামে নি¤œমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দরপতনে পাম অয়েলে দাম এমনিতেই নি¤œমুখী ছিল।

কুয়ালালামপুরের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে ও চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সয়াবিনের দামের কথা উল্লেখ করে জানান, বিশ্ববাজারে সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দাম কমায় পাম অয়েলের দাম নি¤œমুখী ছিল। এর মধ্যে ভারত পণ্যটির আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোয় শঙ্কা বাড়ায় দাম আরও কমছে।