Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 3:45 am

তিশার ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ প্রশংসিত

শোবিজ ডেস্ক: নারীরা রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস থেকে শুরু করে চলন্ত বাস পর্যন্ত সব জায়গায় যৌন নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু এ নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারে কয়জন? মুখ ফুটে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ কিংবা নোংরা অভিজ্ঞতার কথা সবার সামনে তুলে ধরতে পারেই বা ক’জন? আবার প্রতিবাদ করতে গেলে দিন শেষে দোষটা আসে নির্যাতিত হওয়া মেয়েটার ওপরেই। সমাজের কাছে ছোট হতে হয় তাকেই। সমাজ কু-দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকেই। এসব যৌন নির্যাতিত নারীদের না বলা কথাগুলোই উঠে এসেছে পরিচালক সাজ্জাদ সুমনের ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ টেলিফিল্মের মাধ্যমে। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করলেন দেশের আনাচে-কানাচে থাকা হাজারো নির্যাতিত নারীকে। এখানে নির্যাতিত নারীর ভূমিকায় ছিলেন তিশা। তিশার অভিনয় নিয়ে বলার কিছু নেই। দেশের নাট্য জগতে তাকে বলা যায় অলরাউন্ডার অভিনেত্রী। যে কোনো চরিত্রের সঙ্গে মুহূর্তেই মিশে যেতে পারেন তিনি অবলীলায়। ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ টেলিফিল্মেও তার অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মতো। টেলিফিল্মে যৌন নির্যাতন করা শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম। তার অভিনয় দেখে মনে হয়েছে, এ চরিত্রের জন্য তার মতো পারফেক্ট চয়েস আর কেউ হতে পারত না। টেলিফিল্মে নারীদের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদের পাশাপাশি মুখোশ উম্মো চন করা হয়েছে সমাজের বিত্তবান কিংবা ক্ষমতাধর এক শ্রেণির মানুষের। যারা মিডিয়ার সামনে যে অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলে, আড়ালে তারাই জড়িত থাকে সেসব অপরাধের সঙ্গে! তারাই সবচেয়ে ভয়ানক কীট আমাদের সমাজের। সব কীটেরা ধ্বংস হোক, সমাজ থেকে সব ধরনের নারী নির্যাতন বন্ধ হোক। পরিচালক যেন এমন ভাবনাই উসকে দিতে চেয়েছেন টেলিফিল্মটিতে। মেজবাহ উদ্দিন সুমনের রচনা ও সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ এরই মধ্যেই টিভি দর্শকদের মন ছুঁয়ে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মেও তুমুল আলোচিত ও প্রশংসিত হচ্ছে। টেলিফিল্মটি এরই মধ্যেই ইউটিউবে দুই লাখেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। প্রতিদিন ভিউ সংখ্যা বাড়ছে।