তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামরি, আহত ৪

প্রতিনিধি, জবি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে ক্যাম্পাস সংলগ্ন আরামবাগ হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মালিকের ছেলে ও এক সহযোগিকে মারধর করে। এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরামবাগ হোটেল ও নগরসিদ্দিক প্লাজা মার্কেট বন্ধ করে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আল-সাদিক ও সাগর আরামবাগ হোটেলে খেতে গেলে সেখানে বসা নিয়ে দুই লোকের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর আল-সাদিক হাত ধুতে গেলে তার উপর ধারালো কাচি নিয়ে হামলা চালায় মালিকের ছেলে মোনায়েম। এ সময় আল সাদিকের মুখের পাশে কেটে যায়। আল-সাদিককে পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা আরামবাগ হোটেলের মালিকের ছেলে মোনায়েম ও তার এক সহযোগিকে মারধর করে। এসময় তাদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

নগরসিদ্দিক প্লাজা ও আরামবাগ হোটেলের মালিক ফারুক মনোয়ার বলেন, কয়েকজন পোলাপান এসে আমার কিছু পোলাপান বসে ছিল তাদের সাথে ঝামেলা করেছে। আমার ভাগ্নি সহ কয়েকজন ইন্ধন দিয়ে এসব করাইছে। যারে মারছে ও আমার বড়ো ছেলে মোনায়েম। ছোট ছেলে তোফায়েলকেও মারছে। মোনায়েম সহ কয়েকজন বসে ভাত খাইতেছিল ক্যাম্পাসের পোলাপান এসে থাপ্পর দিছে। ভিডিও ফুটেজ আছে সেখানে সব আছে।

আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আল-সাদিক বলেন, আমরা হোটেলে খাইতে যাওয়ার পরে ওই লোক হাঁটার জায়গায় পা বের করে বসে ছিলো। উনি যেহেতু না খেয়ে বসে ছিলো, আমরা ওই ব্যক্তিকে বলি যে উঠে আমাদের বসতে দেন। পরে ওই ব্যক্তি বলে আমি মালিক, আমি উঠব কেন? তখন কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আমরা হাত ধুইতে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই লোক কাচি দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে, যা সিসিটিভি ফুটেজেও আছে। আমার মুখে অনেকক্ষানি কেটেছে, ৫টা সেলাইও লেগেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর এমন হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাটি যেহেতু বাহিরের তাই আমি পরামর্শ দিয়েছি মামলা করতে। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

সুত্রাপুর থানার ওসি মোঃ মঈনুল ইসলাম বলেন, দোকানের মালিকানা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। সেটাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে বলে একপক্ষ থেকে শুনেছি। আরেকপক্ষ এখনো হাসপাতালে আছে, তারা আসলে তাদের বক্তব্য শুনবো। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, আমরাও সেটি পর্যবেক্ষণ করছি।