Print Date & Time : 13 August 2025 Wednesday 10:40 pm

তুরস্কের নির্বাচন ও তুরস্ক-বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পর্ক

নোমান বিন হারুন: কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের দিনে তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। পাশ্চাত্যের ক্রমবর্ধমান চাপ ও জীবনযাত্রার মানের ঊর্ধ্বমুখিতা সত্ত্বেও তার বিজয় নিঃসন্দেহে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার বহিঃপ্রকাশ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তুরস্ক আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজের জোরালো অবস্থান গড়ে তুলতে আঙ্কারা এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে বিশেষভাবে মনোযোগী হয়ে উঠেছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তুরস্ক ২০১৯ সাল থেকে ‘এশিয়া এনিউ’ উদ্যোগের মাধ্যমে এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে নানা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে আঙ্কারা।

তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক বেশ পুরোনো। স্বাধীনতার আগে থেকেই তুর্কি ও বাঙালি জাতির সম্পর্কের অত্যন্ত শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি রয়েছে। তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। আধুনিক তুরস্কের জনক (আতাতুর্ক) মোস্তফা কামাল পাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২১ সালে রচনা করেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘কামাল পাশা’। ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামের দুটি স্থানকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ নামে নামকরণ করা হয়। ফেনীর দাগনভুঁঞা উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকায় মুস্তফা কামাল তুর্কি ভাষা কেন্দ্র।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির সম্মেলনে তুরস্ক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস এবং ১৯৮১ সালে আঙ্কারায় বাংলাদেশের দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারপ্রধানদের মধ্যে সর্বপ্রথম আঙ্কারা সফর করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী তুরগুত ওজাল বাংলাদেশ সফরে আসেন। তুর্কি রাষ্ট্রপতি সুলায়মান দেমিরেল ১৯৯৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা এবং ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে দুই দেশ সম্মিলিতভাবে ডি-৮ প্রতিষ্ঠা করে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ গুল ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সফর করেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ২০১০ সালে ঢাকা সফর করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালে আঙ্কারা সফর করেন।

কিন্তু যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করায় তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এমনকি সেসময় ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছিল দেশটি। তবে ২০১৬ সালে দু’দেশের সম্পর্কে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। সে বছরই দেশটিতে সংঘটিত ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে একটি বার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে পরিপ্রেক্ষিতেই গলতে শুরু করে সম্পর্কের বরফ।

বাংলাদেশে তুরস্কের আগ্রহের দ্বিতীয় কারণ রোহিঙ্গা সংকট। মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশটি। সংকটের শুরুতেই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ানের বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারের শিবির পরিদর্শনে যান। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে শীতল সম্পর্ক থেকে দু’দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুকে সম্পর্কোন্নয়নের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজে লাগায়। তারই ধারাবাহিকতায় তুরস্কের তখনকার প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বাংলাদেশ সফর করেন।

এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তুরস্ক সফর করে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস উদ্বোধন করেন। সে সময় আঙ্কারার প্রধান সড়কে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। একইভাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু ঢাকা সফরে এসে তুর্কি দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন করেন। শিগগির বনানীতে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে মুস্তফা কামাল পাশার ভাস্কর্য স্থাপনের কথা রয়েছে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগে বিশেষ করে সমরাস্ত্র খাতে সহযোগিতায় বিশেষভাবে মনোযোগী হয়েছে তুরস্ক। কভিড সংক্রমণকালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কাছে তুরস্কের সমরাস্ত্র বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তার কথা জানান তিনি। এর ধারাবাহিকতায় আঙ্কারায় দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়। এরপরই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আট দিনের সরকারি সফরে তুরস্কে যান। তুরস্কের দৈনিক আল সাবাহ জানায়, বাংলাদেশের কাছে ইস্তাম্বুল ক্লাসের ফ্রিগেট বিক্রিতে আগ্রহী আঙ্কারা। সেসময় তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে তুরস্কের অবস্থান বেশ ভালো। ন্যাটোর সদস্য দেশ হওয়ায় তুরস্কের উৎপাদিত সমরাস্ত্রগুলো গুণগত মানে যেমন ভালো, দামেও ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় সাশ্রয়ী। তাছাড়া তুরস্ক থেকে সমরাস্ত্র ক্রয়ে ক্রেতা দেশকে তুলনামূলকভাবে কম অর্থনৈতিক বা সামরিক বিধিনিষেধে পড়তে হয়। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর ভাষ্য অনুসারে, তুরস্ক থেকে অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে চতুর্থ বৃহত্তম ক্রেতায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে রপ্তানি করা আনুমানিক এক বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে বাংলাদেশ ৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সরঞ্জাম বুঝে নিয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৪১ সদস্য তুরস্কে একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। তুরস্ক থেকে আমদানি করা প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলো বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমান) ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডে সজ্জিত করবে।

ন্যাটোর পাশাপাশি জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহ বৈশ্বিক ফোরামগুলোয় দেশটির জোরালো অবস্থান আছে। এছাড়া তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার অবস্থানকে সমর্থন করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করার জন্য তুরস্কের মতো শক্তিশালী মিত্রের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাছাড়া বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায়। আঙ্কারাও বার্ষিক এক বিলিয়ন ডলারের দ্বিমুখী বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়।

বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো উন্নয়নশীল আটটি দেশের সংগঠন ডি-৮। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন এরবাকানের প্রতিষ্ঠা করা এ জোটটি ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ‘ইস্তাম্বুল ঘোষণা’র মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু করে। এর লক্ষ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নতি সাধন ও বিশ্ব-অর্থনীতিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করা, পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সুবিধা বৃদ্ধি করা, আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবার অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা। এর অধীনস্থ দেশগুলোর সহযোগিতার প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছেÑআর্থিক ও ব্যাংকিং, গ্রাম উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানবকল্যাণ ও মানবাধিকার, কৃষি, জ্বালানি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ডি-৮ গ্রুপে বাংলাদেশের নেতৃত্বদান ও সাংগঠনিক তৎপরতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ঢাকায় ডি-৮ সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১-এর ডি-৮ সম্মেলনে দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে দেশের তরুণদের শক্তি বাড়ানো এবং আইসিটির সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য ডি-৮-কে কাজে লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

১১০ কোটি জনসংখ্যা এবং চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি নিয়ে ডি-৮ জোট একটি প্রভাবশালী অর্থনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বমোট ১.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য নিয়ে ডি-৮ এরই মধ্যে একটি বড় অর্থনৈতিক ব্লকে পরিণত হয়েছে। ‘প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস’-এর মতে, ডি-৮ সদস্য দেশগুলো ২০৫০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২৪টি অর্থনীতির তালিকায় থাকবে এবং ৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্মিলিত জিডিপি নিয়ে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ডি-৮ দেশগুলো মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের চার শতাংশ উৎপাদন করে এবং বৈশ্বিক পণ্যদ্রব্য রপ্তানির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ রপ্তানি করে এর সদস্য দেশগুলো। দুই হাজার ডলারের বেশি মাথাপিছু জিডিপির মাইলফলক বাংলাদেশ ডি-৮-এর অর্থনৈতিকভাবে অন্যতম ‘উদীয়মান শক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। উপরন্তু বাংলাদেশকে নিজস্ব জনসংখ্যার বাইরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাড়তি বোঝা টানতে হচ্ছে। সার্বিক বিচারে বাণিজ্য, খাদ্য ও জ্বালানি সমস্যা নিরসন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা দূর করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে ডি-৮-এর মাধ্যমে।

নিজস্ব সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে সারা বিশ্বকে পরিচিত করে দিতে তুরস্ক সরকার শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। সরকারি শিক্ষাবৃত্তি ‘তুর্কিয়ে বুরসলারি স্কলারশিপ’-এর অধীনে তুরস্ক সরকার বিভিন্ন স্তরে ৭০-৮০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বৃত্তি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তির সংখ্যা একশটিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক সরকার। বর্তমানে তুরস্কের ৫৫টি শহরে শতাধিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করছেন বাংলাদেশের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।

একবিংশ শতাব্দীর এ সময়ে এসে তুরস্ক ইসলামি সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে এরদোয়ানের এ কে পার্টি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে তুরস্ক সরকার প্রচুর নাটক-সিনেমা তৈরি করেছে। বাংলাদেশেও তুরস্কের ভাবাদর্শের একটি উল্লেখযোগ্য শ্রেণি গড়ে উঠেছে। সেখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। এর ফলে তুরস্কে বাংলাদেশের বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকটের চিত্র সঠিকভাবে তুলে ধরতেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনন্য। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তুরস্কের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তা আরও বাড়ানো সম্ভব হলে ভবিষ্যতে এ সম্পর্কের ফলাফল ঘরে তুলতে পারবে বাংলাদেশ।

শিক্ষার্থী, আইন ও বিচার বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়