শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের প্রায় দুই সপ্তাহ পর তুরস্ক সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। গত রোববার তিনি দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় হওয়া ওই ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি প্রদেশে সফর করেন। এ সময় তিনি এই অঞ্চলের জন্য আরও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। খবর: আল জাজিরা, রয়টার্র্স।
তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সময় রোববার হেলিকপ্টারে চড়ে অ্যান্টনি ব্লিংকেন ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকা সফর করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের যৌথভাবে পরিচালিত ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে তিনি বলেন, ‘এটি (বিধ্বস্ত এলাকা পুনরুদ্ধার) একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে।’
শীর্ষ এ মার্কিন কূটনীতিক বলেন, ‘আপনি যদি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ভবনের সংখ্যা, অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সংখ্যা দেখেন, তখন বুঝতে পারবেন সেগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
ব্লিংকেন বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাদের প্রয়োজন তাদের সাহায্য দেয়া, তাদের শীতকালীন সহযোগিতা করা এবং স্বনির্ভর করা। নিকটবর্তী সৈন্যরা সাহায্যের বাক্সগুলো নামাচ্ছে… আমরা সঙ্গে থাকব, যতক্ষণ না আমরা কাজ শেষ করি।’
এর আগে ভূমিকম্পের কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ক ও সিরিয়ার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ভূমিকম্পে এ দেশ দুটিতে ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসা সরবরাহ ও সরঞ্জামও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্লিংকেন বলেছেন, সর্বশেষ প্রতিশ্রুত অতিরিক্ত সহায়তার মধ্যে রয়েছে জরুরি শরণার্থী ও অভিবাসন তহবিলে ৫০ মিলিয়ন এবং মানবিক সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দুই বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ন্যাটো মিত্র তুরস্কে এ প্রথম সফর করছেন ব্লিংকেন। গত সপ্তাহে জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পর রোববার তিনি তুরস্কের ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।