তুরস্ক এখন ‘তুর্কিয়ে’

শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেশের নাম পরিবর্তন করে ‘তুর্কিয়ে’ (ঞহƒৎশরুব) করল তুরস্ক। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

তুরস্কের আনুষ্ঠানিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নতুন এ নামটি গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসোগলুর কাছ থেকে মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বুধবার (১ জুন) একটি চিঠি পান। সেখানে তিনি ঞঁৎশবু নাম পরিবর্তন করে ঞহƒৎশরুব করার অনুরোধ জানান। এরপর নতুন নামের বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে।

এখন অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোয়ও একই ধরনের পরিবর্তন আনতে অনুরোধ জানাবে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত বছর থেকে তুরস্ককে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অংশ হিসেবে ‘তুর্কিয়ে’ রাখার প্রচারণা শুরু করেন। গত ডিসেম্বর এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের মানুষের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধের সবচেয়ে ভালো বহিঃপ্রকাশ এবং প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তুর্কিয়ে সর্বোত্তম। তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ এরই মধ্যে তাদের দেশকে তুর্কিয়ে হিসেবে জানে। এরদোয়ান গত বছর নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি ‘তুর্কিয়ে’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করে। তবে ইংরেজিতে ‘টার্কি’ বা তুরস্ক নামটি আন্তর্জাতিক মহলে এবং দেশের ভেতরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহƒত হয়। অভিযোগ রয়েছে, ক্যামব্রিজ ডিকশনারি ‘টার্কি’ শব্দটিকে ‘নিদারুণভাবে ব্যর্থ’, অথবা ‘বোকা’ অথবা ‘গুরুত্বহীন ব্যক্তি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে। ‘টার্কি’ শব্দটি বড়দিন, ইংরেজি নতুন বর্ষ ও থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি পাখির নাম বলেও জানায় তারা।

এখন থেকে তুরস্কের সব রপ্তানি পণ্যের গায়ে ‘মেড ইন তুর্কিয়ে’ লেখা থাকবে। এছাড়া জানুয়ারি থেকে তুরস্কের পর্যটন শিল্পে ‘হ্যালো তুর্কিয়ে’ প্রচারণা শুরু হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা এ নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করলেও অনেকে বলছেন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে প্রেসিডেন্ট এটি করেছেন। দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি অবশ্য বিশ্বে নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০২০ সালে ‘হল্যান্ড’ নামটি বাদ দিয়ে নেদারল্যান্ডস হিসেবে পরিচিত হয়। এর আগে গ্রিসের সঙ্গে বৈরিতার কারণে মেসিডোনিয়া তাদের নাম পরিবর্তন করে নর্থ মেসিডোনিয়া করে।