Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 5:09 pm

তুরস্ক-সিরিয়ায় শীত উপেক্ষা করে চলছে উদ্ধার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসাবশেষ ও আবর্জনার নিচে আটকা পড়া জীবিতদের উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসলেও হিমাঙ্কের নিচে বা কাছাকাছি তাপমাত্রা উদ্ধারকাজে বিঘœ ঘটিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। তবু এ তীব্র শীতের মধ্যে উদ্ধারকারীরা কঠিন পরিশ্রম করে চলেছেন, থেমে নেই তাদের উদ্ধারকার্যক্রম। খবর: আল জাজিরা।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পে চাপা পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। এ কারণে উদ্ধারকর্মীদের আশা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তবু তাদের কার্যক্রম চলছে।

ভূমিকম্পে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ১৭০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

দুর্গতরা আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন থাকায় অনেক জীবিতও প্রাণ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের বিপদ ঘনিয়ে আসছে জানিয়ে তাতে প্রথম ভূমিকম্পের চেয়েও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

ভূমিকম্পের পর জরুরি পরিষেবাগুলো সাড়া দিতে অনেক দেরি করেছে, এমন অভিযোগকে ঘিরে তুরস্কে অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছে। কিছু এলাকায় লোকজন দুই দিন অপেক্ষা করার পরও জরুরি পরিষেবার দেখা পায়নি। তবে ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে এসে উদ্ধারকাজ জোরদার হলেও ইতোমধ্যে পরিস্থিতি অনেক নাজুক হয়ে পড়েছে।

তুরস্কের ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত গাজিয়ানতেপ শহরে ত্রাণ কাজে নিয়োজিত ইসলামিক রিলিফ দলের কর্মী সালাহ আবৌগ্লাসেম বলেছেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লায় আমরা সত্যিই হেরে যাচ্ছি।

তুরস্কের প্রতিবেশী সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছিল। এর মধ্যে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং অপর অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজে সমন্বয়েও সমস্যা হচ্ছে। গত সোমবার ভোররাতের ভূমিকম্পের পর ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। এ সময়কে প্রাণ বাঁচানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে বিবেচনা করেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা। ফলে মৃতের সংখ্যা  দ্রুত বাড়তে শুরু করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।