Print Date & Time : 27 July 2025 Sunday 4:30 pm

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪৪ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ১৬ পয়সা ছিল। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ৫৯ পয়সা ছিল। আর ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি  নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৪ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ছিল ১৮ টাকা ১১ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ পয়সা (লোকসান)। আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৪৫ পয়সা।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল যথাক্রমে ১ টাকা ২৬ পয়সা ও ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন বিশিষ্ট সাধরান বিমা কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কোম্পানির বর্তমানে শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০। আর মোট শেয়ারের মাত্র ৩০ দশমিক ১৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ৫৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬২ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৮টি শেয়ার ৬০২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৭৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।